দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) জারি করলো সতর্কবার্তা | আগামী ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যেই দেশে আছড়ে পড়বে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ | এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া | তার কথায়, কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত অনিবার্য। এই পরিস্থিতিতে বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসন্ন তৃতীয় ঢেউ-র মোট সংক্রমণের ১০ শতাংশ আসবে শিশুদের থেকে |
এমস কি জানান (AIIMS):
কোভিশিল্ডের প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বৃদ্ধির ঘটনায় কোনও খারাপ প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে এমস। পাশাপাশি, প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রসঙ্গ তুলে ‘আনলক’ পর্বে আরও সতর্কতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এমস প্রধানের মন্তব্য, ‘‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের উদাহরণ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সংক্রমণের ‘লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে কোভিড পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন তিনি |
এ পর্যন্ত ভারতে মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ ২ টি টিকা পেয়েছেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ১০৮ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-র ধাক্কা কোনোমতে কাটিয়ে উঠছে ভারত | কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বার বার সচেতন করছেন | এটাই শেষ নয়, বহু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও ভয়ঙ্কর ও আরও মারাত্মক অবস্থায় ফিরতে চলেছে করোনা তৃতীয় ঢেউ | যাতে আবারও বেসামাল পরিস্থিতে পড়তে পারে দেশ | তাই, এই মুহূর্ত থেকেই সতর্ক হতে হবে দেশকে |
আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আসতে চলেছে করোনা তৃতীয় ঢেউ | তাই, আগে থেকেই মহারাষ্ট্র সরকার শিশুদের সেফ হোম থেকে হাসপাতালে আলাদা আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছে | সম্প্রতি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের উপস্থিতিতে একটি মিটিংয়ে টাস্ক ফোর্স আশঙ্কা প্রকাশ করে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও আরও মারাত্মক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ । সংক্রমণের হার হবে দ্বি-গুণ । সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পৌঁছতে পারে ৮ লাখে । আগের দুই ঢেউয়ের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ঢেউয়ে সংক্রমণের ১০ শতাংশ আসবে শিশুদের থেকে । তাই সমস্ত দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে প্রশাসনকে । এ দিকে বুধবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের উপর । ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল । শুধু মুম্বইয়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮২১ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের ।
আরও পড়ুন - Watermelon farmers are affected: করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ে ঝাড়খণ্ডে তরমুজ কৃষকদের দ্বিগুন ক্ষতি
তাই এই পরিস্থিতিতে, সকলকে আরও সাবধান হতে হবে | বিশেষত, বাড়ির শিশুদের বাইরে কম বার করতে হবে | সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে | প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা নিয়ে নিতে হবে |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - Google donates 113 crore: করোনা মোকাবিলায় ভারতকে ১১৩ কোটি অনুদান ঘোষণা গুগলের