ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বা সামাজিকভাবে হেয় করছে। সামান্য একটু সচেতন হলেই অনেকাংশে এসব প্রতিরোধ করা সম্ভব। এরপরও কেউ যদি সাইবার আক্রমনের শিকার হয় তাহলে তার জন্য কিছু করণীয় রয়েছে।
বর্তমান সময়ে প্রায় সবাই খুব সহজেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে। কিন্তু ভারতে ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাবের কারণে অনেক মানুষ প্রায়ই সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়।আজকাল হোয়াটসঅ্যাপের নামে একটি কেলেঙ্কারী করা হচ্ছে, যাতে লোকেরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে অনেক ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত তথ্য চুরি করে। তাই আজ আমরা আপনাদের বলতে যাচ্ছি হোয়াটসঅ্যাপে চলা এই প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায়। তো চলুন জেনে নেই তাদের সম্পর্কে...
অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করে
আজকাল, নববর্ষের নামে, বন্ধুদের পাঠানো কোনো লিঙ্ক যাতে লেখা থাকে যে আপনি নববর্ষ উপলক্ষে একটি দামী এবং মূল্যবান উপহার জিতেছেন।এটা পড়ার পর অনেকেই লিংকে ক্লিক করেন। এরপর দেখলেন আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছে। তাই অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করার আগে দুবার ভাবুন।
আরও পড়ুনঃআধার কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি! জেনে নিন বাঁচার উপায়
একই পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
জিমেল, ফোন, ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ,কম্পিউটারের লক সবেতেই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা কখনওই উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং দরকার হলে প্রতি মাসে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। না হলে কিন্তু সাইবার ক্রিমিনালদের কাজ কিন্তু অনেক সহজ হয়ে যাবে।
প্রাইভেসি সেটিং-কে গুরুত্ব না দেওয়া
নিজের হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া প্রাইভেসি সেটিং-এর গুরুত্ব অনেকেই দেন না। তাই যে কোনও ব্যক্তির পক্ষেই প্রাইভেসি সেটিং দেখতে পাওয়া খুব সহজ হয়ে যায়। তাই প্রাইভেসি সেটিং-কে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এমনকি নিজের ফটো যাতে অন্যকেউ ডাউনলোড করতে না পারে, তার জন্য ফটোতেই প্রাইভেসি লক করে দেওয়া উচিত।