২০৩০ সালের মধ্যে গোটা কলকাতায় ই-ভেহিকেল,ইলেকট্রিক বাস চালু করার পরিকল্পনা রাজ্যের গ্রিন সিটি করাই লক্ষ্য। সারা বিশ্ব জুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং যেভাবে বাড়ছে,আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত গতিতে, তাতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই পরিবেশ বান্ধব সবুজ শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে চলেছে। মহানগর কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই শহর কলকাতা, বিধাননগর,রাজারহাট - নিউ টাউনকে পরিবেশ বান্ধব শহর রূপে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
বুধবার ডালহৌসি তে 'দি বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'-র সভাঘরে বিসিসিআই-এর এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে। জাতি সংঘের "Accelerating Electric Mobility with Green Jobs and Gender parity" শীর্ষক এক আলোচনাসভা ইউনাইটেড কিংডমের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে কলকাতায় বি সি সি আই সভাঘরেও এই আলো চনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী,কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম, বেঙ্গল চেম্বার-এর ডিরেক্টর জেনারেল শুভদীপ ঘোষ, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট,বেঙ্গল চেম্বার গৌতম রায় সহ কলকাতার বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানেই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''২০১১ সাল থেকে রাজ্যে স্মার্ট সিটি, গ্রিন সিটি তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই শহরে বহু আগে থেকেই পরিবেশবান্ধব ট্রাম চালু রয়েছে, ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু হয়েছে। খুব দ্রুতই-ভেহিকেল, ইলেকট্রিক বাস চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় ৩০০ সরকারি বাসকে সিএনজি-তে পরিণত করা হয়েছে। খুব দ্রুত আরও ১০০০ সিএনজি বাস চালু করা হবে।'' ইতিমধ্যেই নিউটাউনকে গ্রিন সিটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোটা নিউ টাউনকে পরিবেশবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার সমস্ত রকম চেষ্টা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। সোলার প্যানেল, আলাদা সাইকেল ট্র্যাক, পাবলিক বাই সাইকেল শেয়ারিং সিস্টেম, গ্রিন বিল্ডিং, ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন -Reliance foundation: হরিহরপাড়া ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সমবায়ের বার্ষিক সভা
কলকাতাতেও আগামী দিনে সিইএসসি-র সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন হবে, যেখানে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জ দিতে পারবে। আগামী দিনে কলকাতা, নিউ টাউনকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন শহরগুলোতে কীভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম। বেঙ্গল চেম্বার-এর পক্ষ থেকে শীর্ষ আধিকারিকরা জানান, আগামীদিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরও নিবিড় ভাবে পরিবেশবান্ধব সমস্ত কাজে সব রকমের সাহায্য করবে এই বণিকসভা।
আরও পড়ুন -উন্নত প্রযুক্তিতে পাট উত্পাদন এবং পাটজাত বিবিধ পণ্য তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব