দীর্ঘ ৩৭৮ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে (krishi bill 2020 in bengali) আপাতত ইতি টানলেন কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিল সহ অন্যান্য বিষয়ে লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পরই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ১৯ নভেম্বর, গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তারই অনুষ্ঠানিক চিঠি আসার পর বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। এই বৈঠকে সহমতের ভিত্তিতে তাঁরা ৩৭৮ দিনের আন্দোলনে আপাতত ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রধানমন্ত্রী নিজে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করার পর আশা করা হয়েছিল যে কৃষকরা আন্দোলনে ইতি টানবেন। কিন্তু কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি, এমএসপি গ্যারান্টি এবং বিদ্যুৎ সংশোধন বিলের মতো বিষয়ে লিখিত আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ পূর্ন সামরিক মর্যাদায় শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে বিপিন রাওয়তের
কেন্দ্র চিঠিতে জানিয়েছে, আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাও সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানিয়েছে। চিঠিতে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে কৃষকদের আপত্তির বিষয়গুলি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার আগে ওই বিল সংসদে পেশ হবে না।
কৃষক আন্দোলনের নাম পৃথিবীর দীর্ঘতম আন্দোলনের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। আন্দোলনে যে ধরনের ঐক্য দেখানো হয়েছে তা সরকারকে 'কৃষক' শব্দ এবং এর শক্তির কথা বার বার মনে করিয়ে দেবে। এরপর যে কোনো সরকার এসি রুমে বসে কোনো স্বেচ্ছাচারী আইন ঘোষণা করার আগে শতবার ভাববে। এই আন্দোলনের পর কৃষক কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যার কারণে আগামী কয়েক দশক রাজনৈতিক আলোচনার শীর্ষে থাকবে কৃষকরা । কোনো সরকারই কৃষকদের উপেক্ষা করতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে টমেটোর দাম ১৪০ টাকায় পৌঁছেছে
শাসক দলের লোকেরা কখনও এই আন্দোলনকে শুধুমাত্র পাঞ্জাবের শিখদের আন্দোলন বলে আবার কখনও জাতপাতের ভিত্তিতে আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে । দেশে যখন জাতি-ধর্মের নামে হিংসা চলছে , তখন এই দীর্ঘ আন্দোলনকে জাত, ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে রেখে শুধু কৃষক আন্দোলন হিসেবেই এর পরিচয় রক্ষা করা হয়েছে। যা নিজেই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক অপূর্ব প্রদর্শন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Bangladesh agriculture: সমীক্ষা অনুযায়ী ব্রি ধান ৭৫-র ফলন হেক্টরপ্রতি ৫ টনেরও বেশি