করোনার সংকট ও লকডাউনের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এই প্যাকেজে বিভিন্ন খাতের জন্য কোথায় কত টাকা বরাদ্দ, তা বিস্তারিতভাবে ঘোষণা করেছেন। অর্থমন্ত্রী গতকাল কৃষি খাতে ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে বিশদে ত্রাণ প্যাকেজের ঘোষণা করলেও, এর আগেই কৃষক সংগঠনগুলি কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে ফসলের ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে লোণ মকুবের আবেদন করে অনেক দাবি জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষণীয় বিষয় হল, মোদী সরকার কৃষকদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করেছেন? সত্যই কি কৃষকরা উপকৃত তার দেওয়া ত্রাণে? ঠিক কী কী সুবিধা তারা পেয়েছেন বা পাবেন? দেখে নেওয়া যাক, কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপ কৃষকদের পক্ষে ঠিক কতটা মঙ্গলজনক ।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মূল ঘোষণা –
- বিগত দিনে ৩ কোটি কৃষককে বিশেষ ছাড়ে লোণ দেওয়া হয়েছে।
- লকডাউনের পরপরই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ দেওয়া হয়েছে।
- স্বল্প সুদের হারে ক্ষুদ্র কৃষকদের চার লক্ষ কোটি লোণ বিতরণ।
- কৃষকদের লোণের সুদের উপর ছাড় ৩১ শে মে পর্যন্ত।
- ২৫ লাখ কৃষককে ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
- গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে নাবার্ডের মাধ্যমে ২৯৫০০ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে।
- মার্চ-এপ্রিল মাসে ৬৩ লক্ষ মানুষের লোণ অনুমোদন।
- মার্চ-এপ্রিল মাসে কৃষি খাতে ৮৬ হাজার ৬০০ কোটি লোণ প্রদান।
- শ্রমিকদের কল্যাণ আমাদের কর্মসূচির শীর্ষে রয়েছে। ন্যূনতম মজুরি বর্তমানে কেবলমাত্র ৩০% শ্রমিকের জন্য প্রযোজ্য। আমরা এটিকে সর্বজনীন করতে চাই।
- অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সরকারের দৃষ্টি নিবদ্ধ দরিদ্র ও শ্রমিকদের দিকে।
- মনরেগা-র অধীনে ফিরে আসা শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
- অভিবাসী শ্রমিকদের রেশন সুবিধার্থে ৩৫০০ কোটি টাকার বিধান।
- রেশন কার্ড নেই যাদের, তারাও ৫ কেজি খাদ্যশস্য পাবেন।
- সরকার দুই মাস ধরে আট কোটি অভিবাসী শ্রমিককে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য ৩৫০০ কোটি টাকার বিধান করেছে। তারা পরের দুই মাসের জন্য মাথাপিছু ৫ কেজি গম বা চাল এবং পরিবার পিছু ১ কেজি ডাল পাবেন।
- সরকার এক দেশ, একটি রেশন কার্ড স্কিম নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে দেশের যে কোনও জায়গায় খাদ্যশস্য নেওয়া যেতে পারে। অভিবাসী শ্রমিকরা যে কোনও রেশন ডিপো থেকে এই রেশন নিতে পারবেন।
- সরকার শহুরে দরিদ্র ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য রেন্টাল স্কিম (Rental Scheme) প্রচলনের পরিকল্পনা নিয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের কম ভাড়ায় বাড়ি দেওয়া হবে। এটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় আনা হবে।
- আপনি ডিজিটাল পেমেন্ট এ পুরষ্কার পাবেন।
- রাস্তায় পণ্য বিক্রেতা ৫০ লক্ষ মানুষরা সহায়তা পাবেন।
- মুদ্রা শিশু লোণ গ্রহণকারীদের সুদে দুই শতাংশ ছাড়।
- আবাসন খাতকে বাড়াতে ৭০০ হাজার কোটি পরিকল্পনা।
- ৬-১৮ লাখ পর্যন্ত আয় যাদের, তাদের হোম লোণে ছাড়।
- ২ কোটি ৩৩ লক্ষ অভিবাসী শ্রমিক মনরেগায় (MGNREGA) চাকরি পেয়েছেন।
- সর্বনিম্ন দৈনিক মজুরি ২০২ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
স্বপ্নম সেন