বিহারের প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রী ডঃ প্রেম কুমার রাজ্যের কৃষকদের জন্য মৎস্য খাত সম্পর্কে একটি বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার জন্য রাজ্যে ১০৭ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এর অনুদানের সুবিধার্থে কৃষকদের শ্রেণী অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এসসি, এসটি ও মহিলাদের জন্য ৬০ শতাংশ এবং সাধারণ কৃষকদের জন্য ৪০ শতাংশ অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য ১২ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সমবায় গোষ্ঠী, জেলে, উদ্যোক্তা, এই ধরণের লোককে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
স্কিম সম্পর্কিত তথ্য -
এই স্কিমের সুবিধার জন্য, এর প্রয়োগ প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করা হয়েছে। কৃষকরা এই ওয়েবসাইটে www.fisheries.ahdbihar.in লগ ইন করে এই প্রকল্প সম্পর্কে আরও তথ্য দেখতে পারেন। কৃষকদের তাদের আবেদনের ফর্ম ভালভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে ২ টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ডিপিআর, কোটেশন ইত্যাদি পূরণ করতে হবে। তবে কৃষকরা যদি আবেদনের সময়ে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হন, তাহলে তারা টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ৬১৪৫ বা ০৬১২-২২৩০২০০-৪ –এ কল করে তথ্য পেতে পারেন। এর সাথে কৃষকরা ডিরেক্টরফিশারিজ- bih@nic.in - এও যোগাযোগ করতে পারেন।
পাটনায় ফল ও সবজি রফতানির প্যাক হাউস -
মন্ত্রী প্রেম কুমার বলেন, রাজ্যের ফল ও সবজি আবাদকারী কৃষকদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার জন্য ফল ও সবজি রফতানিকে উত্সাহ দেওয়া হচ্ছে। রফতানির জন্য রাজধানী পাটনায় এক্সপোর্ট প্যাক হাউস তৈরি করা হবে। ২০২০-২১ বছরে এই কাজের জন্য ৬৩.৬৪ লক্ষ টাকা অনুমোদিত হয়েছে। এটি মিঠাপুরের বিএইউর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে নির্মিত হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এটি কৃষকদের উপকৃত করবে এবং তাদের ফলন বেশি পেতে সহায়ক হিসাবে প্রমাণিত হবে।
রাজ্যের ফলমূল বাছাই, গ্রেডিং ও প্যাকেজিং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে প্রেরণ করা হবে। APEDA-এর প্রযুক্তিগত নির্দেশনায় এই নির্মাণকাজ হবে। অত্যাধুনিক প্যাক হাউসে ৩০ টনের কোল্ড স্টোরেজ থাকবে। ফল ও সবজি প্রতি ঘন্টা ৩ টন হারে পরিষ্কার করা হবে। এর পাশাপাশি ৫ টন ক্ষমতার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহনের ব্যবস্থাও করা
Image source - Google
Related link - (Yono Krishi application) সরকারের সহায়তায় এবার ঘরে বসেই পাবেন ফসলের প্রত্যয়িত বীজ
(PMMY) গ্যারান্টি ছাড়া ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোণ পাবেন সরকারের এই প্রকল্পে