বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লিচুর গুটির সবুজের সমারোহ। কোনো কোনো গাছে মুকুল থাকলেও বেশিরভাগ গাছেই ফলন এসে গেছে। চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধ। ফলন দেখে খুশি চাষি থেকে ব্য়বসায়ীরা। এখন দিনাজপুরের বিভিন্ন বাগান ছাড়াও প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনায় লিচু গাছে থোকায় থোকায় লিচুর গুটি ঝুলছে। অন্যদিকে চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত।
তবে গত মওসুমে করোনার কারণে বাজারজাতকরণ নিয়ে চিন্তা থাকলেও এবার লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুরের লিচু মানে মিষ্টি ও রসালো স্বাদ। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি আর দেশি লিচুর গুটি ফলনে নুয়ে পড়েছে ডালপালা। এবার লিচুর ভাল দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন লিচু চাষীরা।
দিনাজপুরে লিচুর ফলন ভাল হয়েছে। দিনাজপুরে ব্যাপক লিচু গাছে মুকুল এসেছিল। আবহাওয়ার কারণে এবার মুকুল বেশি, ফলনও ভাল হবে। এবার মাদ্রাজি লিচুর গুটি কম হয়েছে। তবে দাম ভাল পাওয়া যাবে। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে লিচুগাছকে বাঁচাতে চাষিরা বিভিন্ন রকম কিটনাশক ব্য়বহার করছেন। অনেকে লিচু গাছের আগাছা মুক্ত করছেন।
আরও পড়ুনঃ মাটি ছাড়াই বিষমুক্ত সবজি চাষ করুন এই পদ্ধতিতে
একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়। এখন লিচুর গুটি এসেছে।এক মাসের মধ্যে পাকা টসটসে লিচু বাজারে উঠবে।
আরও পড়ুনঃ এই ফল চাষ করলে বছরে ২৫ লাখ টাকা লাভ হবে
Share your comments