করোনার বাড় বাড়ন্ত নিয়ে এমনিতেই চিন্তার ভাঁজ দেশবাসীর কপালে। তার মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের ছায়া পৌঁছে গেছে বিশ্বের বহু দেশে। দিন দিন বাড়ছে মাঙ্কিপক্সের দাপট। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চিন্তা বাড়ছে ভারতের। তাহলে কি এই ভাইরাসই ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী। সেই ভেবে আগে থেকেই সতর্ক হচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে তৈরি হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। পাশাপাশি যে সমস্ত দেশে মাঙ্কি ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে সেই দেশ থেকে কেও এলে সেদিকে রাখা হচ্ছে কড়া নজর।
রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে, বিশ্বের ১৫টি দেশে খোঁজ মিলেছে এই ভাইরাসের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সমীক্ষা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১২টি দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, ব্রিটেন, আমেরিকা। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে এই ভাইরাস খুব তাড়াতাড়িই ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। জার্মানির গবেষক Fabian Leendertz বলেন এই রোগের নিয়ন্ত্রনের জন্য ‘কনট্যাক্স ট্রেসিং’, টিকাকরণ এবং ড্রাগের ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ যোগী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত! বাড়ির একজন সদস্য পাবেন চাকরি
মাঙ্কিপক্স কি?
এটি সাধারণত ফ্লু-এর মতো অসুস্থতা এবং লিম্ফ নোডের ফোলা দিয়ে শুরু হয়, বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এটি মুখ ও শরীরে পাইলসের আকার ধারণ করে। এর বেশিরভাগ সংক্রমণ 2 থেকে 4 সপ্তাহ স্থায়ী হয়। ভাইরাসটি সহজে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না, তবে রোগীর শরীরের তরল এবং মাঙ্কিপক্সের ক্ষতগুলির সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কিভাবে আপনি এটা ধরতে পারেন?
এটি ইঁদুর, এবং কাঠবিড়ালির দ্বারা ছড়ায় বলে মনে করা হয়। সঠিকভাবে রান্না করা হয়নি এমন সংক্রামিত প্রাণীর মাংস খাওয়ার মাধ্যমেও এই রোগটি ধরা সম্ভব।
মানুষের কাছ থেকে মাঙ্কিপক্স ধরা খুবই অস্বাভাবিক, কারণ এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না। ফুসকুড়ি আক্রান্ত কারো ব্যবহৃত পোশাক, বিছানা বা তোয়ালে স্পর্শ করার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ানো সম্ভব। মাঙ্কিপক্সের ত্বকের ফোস্কা বা স্ক্যাব স্পর্শ করার মাধ্যমে বা সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি এবং হাঁচির খুব কাছাকাছি যাওয়ার মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়াতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আর মাত্র কদিন! বঙ্গে ঢুকবে বর্ষা, কি বলছে হাওয়া অফিস?
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি কী কী?
আপনি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন, তবে প্রথম লক্ষণগুলি দেখা দিতে সাধারণত পাঁচ থেকে 21 দিনের মধ্যে সময় লাগে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, কাঁপুনি এবং ক্লান্তি।
একটি ফুসকুড়ি সাধারণত এই লক্ষণগুলি অনুভব করার এক থেকে পাঁচ দিন পরে প্রদর্শিত হয়। ফুসকুড়ি কখনও কখনও চিকেনপক্সের মতও হয়, কারণ এটি উত্থিত দাগ হিসাবে শুরু হয় যা তরল ভরা ছোট ছোট খোসায় পরিণত হয়। লক্ষণগুলি সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যায় এবং স্ক্যাব পড়ে যায়।
প্রতিকার
মাঙ্কিপক্সের জন্য বর্তমানে কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। রোগীদের সাধারণত একটি বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে থাকতে হবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।