সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলোকে এক দেশ এক রেশন কার্ড (One Nation, One Ration card) চালু করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার এই নির্দেশই দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) দিকে। এছাড়াও, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তকরণের জন্য কেন্দ্রকে সেই সংক্রান্ত পোর্টাল তৈরির নির্দেশ দিল আদালত।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য(Purpose of the scheme):
নতুন এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম যাতে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়েও কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত | এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও সুবিধা হবে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যে নিজের অংশের রেশন তুলতে পারবেন। ফলে খাদ্যবণ্টন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন -Covid case increased: ফের দেশে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি, ১ দিনে মৃত্যু ৮১৭ জনের
কি জানায় সুপ্রিম কোর্ট(Decision of SC):
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে , ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’-এর কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে অনলাইন পোর্টাল (Portal) চালু করুক কেন্দ্র। তাতে প্রত্যেকের রেজিস্ট্রেশন থাকা চাই। বিশেষ করে অসংগঠিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলি যাতে নির্ভুলভাবে নথিভুক্ত করা হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে কেন্দ্রকে। গোটা কাজ শেষ করতে ৩১ জুলাই পর্যন্তই সময়। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় সব রাজ্যেই এই প্রকল্প চালু করতে হবে |তারপরই যাতে গোটা দেশে এক দেশ, এক রেশন কার্ড চালু হয়ে যায়, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ রয়েছে শীর্ষ আদালতের।
পরিসংখ্যান মতে, দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি, অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প এখনও চালু হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র সরকারের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ রেশন দোকানে ই-পিওএস (EPOS) যন্ত্র বসে গিয়েছে। এই যন্ত্রে রেশন কার্ডের আসল মালিকই চাল-গম নিতে এসেছেন কি না, তা চিহ্নিত করা যায়। ৮০ শতাংশ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণও হয়ে গিয়েছে। ফলে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করতে কোনও বাধা নেই।
দেশজুড়ে এখন করোনা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি যতদিন থাকবে ততদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন থেকে শুকনো খাবার দেওয়ার নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি কমিউনিটি কিচেন চালু রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ