গতকাল রাজ্যে বজ্রাঘাতে (Lightening death) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ | সোমবার ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) জানিয়েছে, বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে আহতরা ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও |
সোমবার দুপুরে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাত হয় এবং তখন বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দুর্যোধন দাস , মাজাহারুল সেখ , হান্নান সেখ, সুনিল দাস ও সাদ্দাম শেখ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা চলছে জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনার জেরে শোকে ছায়া নেমে এসেছে। সুতি থানার আইরনে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বহরমপুরের বানজেটিয়াতে বজ্রাঘাতে অভিজিৎ বিশ্বাস এবং প্রহ্লাদ মুরারি নামে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় বাজ পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়।
ট্যুইট (PMO Tweet):
সোমবার রাতেই বাংলায় ট্যুইট করে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’
প্রধামন্ত্রীর ঘোষণা:
১) টীকাকরণ (Vaccination):
শুধু তাই নয়, গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে | রাজ্যগুলিকে টিকা কিনে দেবে কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতালগুলি টিকা পিছু ১৫০ টাকা পরিষেবা টাকা নিতে পারবে।
২) বিনামূল্যে রেশন:
নভেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের মানুষের খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। চলবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা।
৩) ২৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে:
দেশে ২৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা কম সময়ের মধ্যে অনেকটা লক্ষ্য পূর্ণ করেছি। গতবছর এপ্রিলে টিকা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। আরও দ্রুত টিকার সরবরাহ বাড়বে। দেশে ৭টি সংস্থা টিকা তৈরি করছে। ৩টি সংস্থা আলাদা আলাদা টিকার ট্রায়াল চালাচ্ছে। অন্য দেশ থেকেও টিকা কেনার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্যও ২ টি টিকার ট্রায়াল চলছে।
৪) মিশন ইন্দ্রধনুষ:
করোনা টিকা গতি বাড়াতে মিশন ইন্দ্রধনুষ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকা দেওয়া হবে। সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। টিকাকরণের শতাংশ এখন ৯০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সব আশঙ্কাকে দূর করে দেশে টিকা তৈরি করে দেখিয়েছে।
আরওপড়ুন - PMFBY : প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় প্রচুর কৃষক, আপনি কি জানেন এই বীমা সম্পর্কে?
করোনার বিরুদ্ধে সারা দেশ কঠিন লড়াই লড়ছে। ভারত দীর্ঘসময় ধরে লড়াই করছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। টিকার চাহিদার থেকে উৎপাদনকারী সংস্থার সংখ্যা কম। দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে টিকাকরণ করছে ভারত। তবে, ভারতে টিকাকরণের উন্নতি হয়েছে |বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ করা হয়েছে বলেই তাঁরা নিশ্চিন্তে সেবার কাজ করে চলেছেন।
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ