কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কৃষকদের স্বার্থে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে কৃষিজাগরন আজ থেকে ২৭ বছর আগে পথ চলা শুরু করেছিল। কৃষি জাগরন আজ শুধু একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানই নয়,কৃষিজাগরন আজ দেশের সকল কৃষকের কাছে আবেগে পরিনত হয়েছে।কৃষি জাগরণ সংবাদ সংস্থার বিশেষ অনুষ্ঠান 'কেজে চৌপাল'। যেখানে কৃষির সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং প্রগতিশীল কৃষকরা অতিথি হিসেবে আসেন এবং তাদের কাজ, অভিজ্ঞতা এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের মাতামত ব্যাক্ত করেন।
তবে অন্যান্য কেজে চৌপালের তুলনায় আজকের চৌপাল ছিল একদমই আলাদা।কারন আজকের অতিথি ছিলেন ভারতের সবচেয়ে ধনী কৃষক ড. রাজারাম ত্রিপাঠী।
চৌপালে কৃষিজাগরনের এডিটর এমসি ডমিনিক, রাজারাম ত্রিপাঠীকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “যে আজ আমি ভারতের সবচেয়ে ধনী কৃষকের সাথে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পেরে খুব গর্বিত বোধ করছি। আজ আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। আমি ২৭ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তা আজ সত্যি করেছে রাজারাম ত্রিপাঠী। রাজারাম ত্রিপাঠীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আজ আপনি, যা কেউ ভাবেননি তা করে দেখালেন। আমি পূর্ণ আশা করি আপনি দেশের অন্যান্য কৃষক এবং আগামী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুনঃ সমৃদ্ধ কিষাণ উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে কৃষি জাগরণ
রাজারাম ত্রিপাঠী বলেন, “আমি খুবই পিছিয়ে পড়া এলাকা থেকে উঠে এসেছি। যেখানে নকশালবাদ খুবই প্রভাবশালী এবং সেই এলাকায় কাজ করা খুবই কঠিন। আমার গল্পটি সেই সব কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণা, যারা মনে করেন চাষ করে কিছুই আয় করা যায় না। তিনি বলেন, “আমার মতো একজন কৃষক যদি এত পিছিয়ে পড়া এলাকা থেকে উঠে দেশের সবচেয়ে ধনী কৃষকের খেতাব জিততে পারে, তাহলে আপনি কেন তা করতে পারবেন না”।
দেশের সকল কৃষককে উজ্জিবিত করার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী সময় কৃষি ও কৃষির সময়। আগামী দিনে দেশের সাফল্যের পথ কৃষির মধ্য দিয়ে যাবে”।তিনি আরও বলেন, দেশের গণমাধ্যম এখনো বুঝতে পারছে না কৃষি কীভাবে দেশের উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে পারে। মিডিয়া বেশিরভাগই রাজনীতি এবং অন্যান্য বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়।যেখানে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ “হিন্দি এবং কৃষক দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ, কিন্তু উভয়ই অবহেলিত” হিন্দি দিবসে বললেন ডঃ রাজারাম ত্রিপাঠি
দেশের কৃষকদের দারিদ্রতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন “বিদেশে কৃষকরা অডিতে যাতায়াত করে আর আমাদের দেশের কৃষকরা আত্মহত্যার কথা বলেন।
তিনি বলেন,“আজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো আইকন বা রোল মডেল রয়েছে। কিন্তু, যখন কৃষির কথা আসে, আমরা খোঁজাখুঁজি করেও কাউকে পাই না। তিনি বলেছিলেন যে আমাদের কৃষির গুরুত্ব বুঝতে হবে, কারণ ভারত আগামী দিনে কৃষিতে নেতৃত্ব দেবে।
প্রসঙ্গত , কৃষি জাগরন আয়োজিত এবং মহেন্দ্রা ট্রাক্টর প্রযোজিত মিলিনিয়র ফার্মার অব ইন্ডায়া ২০২৩ এ সেরা কৃষকের পুরষ্কার জয় লাভ করেছেন ডঃরাজারাম ত্রিপাঠি। তিনি দেশের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত কৃষক হিসাবেও পরিচিত।