পরিবহণ জ্বালানির উৎপাদন শুল্ক বাড়ছে দিন দিন। সেই সঙ্গে বাড়ছে গৃহস্থের হেঁশেলে ব্যবহৃত রান্নার জ্বালানির দাম।এতকিছুর মাঝে কোনঠাসা মধ্যবিত্ত বাঙালি। যেটুকু ভরসা ছিল ভর্তুকির এবার সেই ভর্তুকি যে একদম নামিয়ে আনা হবে তা স্পষ্ট হল লোকসভায় সরকারের দেওয়া তথ্যে।
বিরোধীদের অভিযোগ, গৃহস্থের রান্নায় ব্যবহৃত এলপিজির ভর্তুকি কমিয়েছে চলেছে সরকার।সরকার কি তাহলে ভর্তুকি তুলে দিতে চাইছে। এরপরে কেন্দ্র জানায়, ভর্তুকি তুলে দেওয়া হয়নি। আসলে ভর্তুকি দেওয়ার প্রয়োজনই পড়ছে না।সূত্রের খবর, ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম এতটাই বাড়ানো হয়েছে যে, তা পৌঁছে গিয়েছে ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দামের কাছাকাছি। কলকাতায় একটি ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি মেলে ২০ টাকারও কম। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই খাতে ভর্তুকি না দিয়ে যাঁদের সত্যিই ভর্তুকি প্রয়োজন তাঁদের বিশুদ্ধ জ্বালানির সংযোগ দিতে চাইছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা। যেখানে দরিদ্র নাগরিকদের নিখরচায় দেওয়া হয় গ্যাস সংযোগ। পাশাপাশি, ভর্তুকির টাকা সাশ্রয় করে করোনাকালে তা বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এমন দাবি সত্ত্বেও বহু মানুষ যে এখনও রান্নার জন্য কাঠ অথবা কয়লা ব্যবহার করছেন। নীতি আয়োগের রিপোর্টেও তা স্পষ্ট।মুলত, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এলপিজির ভর্তুকি এবং উজ্জ্বলা যোজনার ভর্তুকি কতটা কমেছে, তা-ও এ দিন স্পষ্ট হয়েছে সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যানে।
আরও পড়ুন
e-vehicle in Kolkata: ২০৩০-এর মধ্যে ই-ভেহিকেলে ভরে যাবে কলকাতায়
Share your comments