রাজ্যে রোগীদের দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। বেসরকারি নয় বরং সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। যে ওষুধ গুলি রোগীদের দেওয়া হচ্ছে তার গায়ের ওপর লেখা রয়েছে বাংলাদেশের সম্পদ-সহ বিভিন্ন লেখা। ওষুধগুলি দেওয়া হচ্ছে হসপিটালের আউটডোর ওষুধ কাউন্টার। এমনকি এই ওষুধের গায়ে লেখা নেই ওষুধ তৈরি ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ।
এই ওষুধ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে স্থানীয় এলাকায়। রোগীদের মধ্যে দেখা গেছে আতঙ্ক। সুত্রের খবর যদি সরকারি ভাবে এই রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ক্রয় করে থাকে তাহলে ওষুধের গায়ে ওই ভাবে লেখা থাকবে না। এখনও পর্যন্ত কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কিছু পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন এই ওষুধ নিয়ে গোটা বিষয়টি তাঁর অজানা।
আরও পড়ুনঃ গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, ১২২ বছরে বাংলায় এমন মার্চ মাস প্রথম
বাংলাদেশে তৈরি সেফ্রাডিন, ডক্সিসাইক্লিনের মতো একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়েছে রোগীদের। পাশাপাশি আরও অনেক গ্রুপের ওষুধ রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এই সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ওষুধ খেয়ে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ সৌম্য ষড়ঙ্গী বলেন, “ তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। আপাতত জানা গেছে এই ওষুধ এসেছে তমলুকের ডিস্ট্রিক্ট মেডিকেল স্টোর থেকে । আর রাজ্য মেডিকেল স্টোর থেকে তমলুকে এই ওষুধ এসেছে। ইয়াসের সময় বাংলাদেশ থেকে দুর্গতদের সাহায্যের জন্যে কিছু ওষুধ পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া কিছু ওষুধ হয়ত পাঠানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে স্থায়ী কোনও তথ্য এখনও জানা যায়নি।“
আরও পড়ুনঃ নাড়াপোড়ানো: পরিবেশ দূষণ এবং সম্ভাব্য প্রতিকার