আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আমফান ও নিসর্গ ঘূর্ণিঝড়ের পরে এখন আরও একটি নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় আবহাওয়া অধিদপ্তর এর নাম দিয়েছে 'গতি'। এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের দিকে আসতে চলেছে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তবে আইএমডি জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের চেয়ে অনেক দুর্বল এবং এতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও কম। বেসরকারী আবহাওয়া সংস্থা স্কাইমেটের মতে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারত, ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল, অন্ধ্র প্রদেশ, কেরল, উপকূলীয় কর্ণাটক, কোঙ্কান এবং গোয়া, গুজরাটের দক্ষিণাঞ্চল এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। স্কাইমেটের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব রাজস্থানের কিছু অংশে ধুলো ঝড়ের সাথে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর পশ্চিম ভারতের সমভূমিগুলিতে আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক হয়ে উঠবে। রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্ষা ২০২০- প্রতিকূল জলবায়ু –
দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল সহ অন্যান্য রাজ্যেও প্রবেশ করেছে। স্বাভাবিক সময়ে বর্ষা আসায় এবারে পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠছে। আশা করা হচ্ছে, জলবায়ু অনুকূল থাকায় এবারে খারিফ মরসুমে কৃষক চাষাবাদ কার্য পরিচালনা সুচারু রূপে সম্পাদন করতে পারবেন।
আবহাওয়া দফতরের সূত্র অনুযায়ী, আগামী ২ দিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের অভ্যন্তরে, কর্ণাটক এবং তেলঙ্গানার বেশ কিছু অংশে ও উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশের আরও কিছু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে।
আজ এবং কাল ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাত সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মধ্য মহারাষ্ট্র, কোঙ্কান ও গোয়া এবং সিকিম, আসামে ইত্যাদি রাজ্যে বিচ্ছিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। এছাড়া রাজস্থান, বিহার, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তর অভ্যন্তর কর্ণাটক এবং রায়লসিমা এই অঞ্চলগুলিতেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের। অর্থাৎ সারা দেশ জুড়েই চলবে বিক্ষিপ্ত দৃষ্টিপাত।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা -
দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম আরব সাগর, দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর, উত্তর আন্দামান সাগর ও মান্নার উপসাগর জুড়ে ৪৫-৫৫ কিমি/ঘন্টা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর ৪০-৫০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলেদের এই অঞ্চলগুলির উপর দিয়ে সমুদ্রের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Related Link -
সুপার সাইক্লোন আমফানের (Amphan-hit areas) ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের আবেদন এখন ৮০ হাজার কোটি টাকা