আইএমডি (IMD)-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪-৫ দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব। কলকাতাতেও এর প্রভাবে চলবে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত। তবে শুধু কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গই নয়, রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই এই কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সুপার সাইক্লোন আমফানের পর গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল। এই গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির দিকেই যেন চেয়েছিল রাজ্যবাসী।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাস্প ঢুকছে, ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরী হয়েছে, সেই জন্যই বৃষ্টির আগমন ঘটেছে। কেরল এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও বর্ষা ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে।
এদিকে কাল মধ্যরাতের পর আজ পুনরায় সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ রয়েছে আংশিক মেঘলা, প্রখর তাপপ্রবাহ থেকে মিলেছে স্বস্তি, কোথাও হালকা, কোথাও বা ভারী বৃষ্টিপাত চলছে।
সূত্র অনুযায়ী, হাওড়া, দুর্গাপুর, বর্ধমান, কালনাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৫ দিন ধরে চলতে পারে এই ঝড়-বৃষ্টি, বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এছাড়া এখন মাঠে কৃষকের কোন প্রধান ফসলও নেই। আসছে খরিফ মরসুম, আমন ধান বপনের সময়। তাই এই সময় বৃষ্টিপাতে কৃষকের বড় ক্ষতির সম্ভবনা নেই, বরং তা তাদের ক্ষেতের জন্য ভালো। সুতরাং, কালবৈশাখীর প্রভাবে এই বৃষ্টিপাতে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে রাজ্যের মানুষ।
আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র, মুম্বাইয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য আরবীয় সমুদ্র এবং লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চল জুড়ে একটি নিম্নচাপ তৈরী হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই নিম্নচাপ থেকে তৈরী হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সঞ্চালন মধ্য ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং এই ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত উত্তর দিকে অগ্রসর হতে চলেছে। ৩ রা জুনের মধ্যে এটি উত্তর মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর জেরেই মুম্বই সহ বিভিন্ন জায়গায়, মহারাষ্ট্রে, গুজরাটে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। আইএমডি থেকে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
Related Link - https://bengali.krishijagran.com/news/mango-farmers-are-devastated-due-to-super-cyclone-amphan-in-west-bengal/