সমাজে বৈষম্য এক ক্ষতিকারক প্রভাব সৃষ্টি করছে যা পরক্ষভাবে মানুষের সম্পর্কে আমাদের বোঝার অন্তর্নিহিত ত্রুটিকেই তুলে ধরে। মানুষ হিসাবে, আমরা লিঙ্গ, জাতি, শ্রেণী,পেশা, আয়, অক্ষমতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে নিজেদেরকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করেছি।
হিংসার জন্ম দেয় এমন মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, প্রতি বছর ১ মার্চ শূন্য বৈষম্য দিবস পালন করা হয়।২০১৩ সালের ১লা মার্চ UNAIDA এর পরিচালক মিশেল সিডিবি সর্বপ্রথম এই দিনটি পালন করা শুরু করেন।পরের বছর মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে সারা বিশ্বে শূন্য বৈষম্য দিবস প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল। UNAIDS এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা তাদের অসুস্থতার কারণে বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Maha Shivratri 2022:কিভাবে করবেন রুদ্রাভিষেক, জানুন মহাশিবরাত্রি ২০২২ পালনের তারিখ ও সময়সূচী
অনেক দেশে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে কিন্তু বিশ্বের প্রতিটি দেশে এটি এখনও সমাজের সকল স্তরে একটি সমস্যা।অনেক দেশ বৈষম্যকে শাসনের উপায় হিসেবে ব্যবহার করে এবং এখনও ব্যবহার করে।
শূন্য় বৈষম্য় দিবস পালনের মূল লক্ষই হল বিশ্ব জুড়ে সকল মানুষের বৈষম্য়হীনভাবে,সুস্থভাবে এবং সম্মানের সাথে বাঁচার যে অধিকার তাকে সম্মান জানানো।বিশ্বজুড়ে চলে আসা মানুষে মানুষে যে অনন্ত বৈষম্য় তা দূর করা মূল লক্ষ হলেও UNAIDS মূলত বিশ্বজুড়ে এইচ.আই.ভি ও এইডস আক্রান্ত মানুষদের যে চুরান্ত বৈষম্য় ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় তার বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক কাজ করে।
এ বছর শূন্য বৈষম্য দিবসের থিম হচ্ছে 'ক্ষতিকারক আইন বাতিল করো, ক্ষমতায়নকারী আইন তৈরি করো' থিমটি একাধিক দেশে অগণিত বৈষম্যমূলক আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবল প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।কিছু আইন মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা এবং সমাজের মৌলিক স্বাধীনতাকে পঙ্গু করে বলে মনে হয়।
শূন্য বৈষম্য দিবসের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতীকি চিহ্ন হল একটি প্রজাপতি। জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে এমন আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দেয় যা মানুষকে বেছে নেয় এবং দোষী করে তোলে কেবল তারা কে, তারা কোথা থেকে এসেছে, তারা কী করে বা কাকে ভালোবাসে এবং ট্রাম্পের বৈষম্যের জন্য সমমনা, নির্বিচার মানসিকতাকে একত্রিত করে।
আরও পডুনঃ National Science Day 2022:এই পাঁচজন ভারতের মহিলা বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তাদের অবদান জানুন
আইন ও পর্যাপ্ত শিক্ষা থাকা সত্বেও বৈষম্য় সারা দেশে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রত্য়েকটি মানুষ যাতে বয়স উচ্চতা গায়ের রং জাতীয়তা লিঙ্গ যৌনতা ইত্য়াদির নিরিখে বৈষম্য়হীন মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে সেটিই এই দিবসের উদ্দেশ্য়