ভারতের বাইরে নিষিদ্ধ ঔষধ ও নিষিদ্ধ উৎপাদিত পণ্যের তালিকা অনেকটা লম্বা। বিভিন্ন ব্যাথা নিবারক ঔষধ যেমন- নোমাল্গিন, ডি-কোল্ড, এন্ট্রোকুইনল, ফুরোক্সোন ও লোমোফেন (এন্টি-ডায়রিয়াল), নিমূলিড, এনলজিন (পেইন-কিলার), সিজা ও সিসপ্রাইড (অ্যাসিডিটি নিবারক), নিমেসুলাইড-এর মতো ঔষধ ও এমন কিছু খাদ্য উৎপাদন ভারতে হয়ে চলেছে, যা কিনা ভারতের মানুষের কাছে অত্যন্ত পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
ডিস্প্রিন (শিরবেদনা নিবারক ঔষধ)
এই ঔষধ মাথা ও গা ব্যাথা উপশমের জন্য করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমেরিকায় ২০০২ সালে সরকারি ড্রাগ সেফটি বডি এই ঔষধকে ১৬ বছরের নীচে যাঁদের বয়স তাঁদের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিস্প্রিন এর সাইড এফেক্টের কারণে মানবশরীরে একটি দুর্লভ পরিস্থিতি তৈরী হয়, যার ফলে আমাদের লিভার ও মস্তিষ্কে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এই ঔষধের প্রচলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবুও এই নিষিদ্ধ ঔষধ ভারতীয় বাজারে রমরমিয়ে চলছে, এবং মানুষ কোনো আগুপিছু না ভেবেই আরামসে এই ঔষধের সেবন করে চলেছে।
লাইফবয়
এই সাবানটি ভারতীয়দের মধ্যে অত্যন্ত পছন্দের একটি সাবান। আমেরিকায় এই সাবানের উপর নিষেধাজ্ঞা অনেকদিন আগেই লাগু হয়ে গেছে, কারণ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে এই সাবানের মধ্যে যে উপাদানগুলি রয়েছে সেগুলি মানুষের ত্বকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। খাদ্য ও ঔষধের প্রশাসনিক সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এই সাবান নির্মাতারা এখনও পর্যন্ত প্রমাণ করতে অক্ষম রয়েছে যে এই সাবান মানব শরীরের পক্ষে খুবই ভালো।
হলদিরামের ভুজিয়া
আমেরিকার খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনিক সংস্থা ভারতের এক প্রখ্যাত মিষ্টি ও শুকনো খাদ্য প্রস্তুতকারক হলদিরামের বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ২০১৬ সালেই নিষিদ্ধ তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। হলদিরামের বিভিন্ন স্ন্যাক্স, বিস্কুট, ওয়েফার্স ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের উপড় এক উচ্চস্তরীয় পরিক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এইসব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল মশলা ও খাদ্যের অযোগ্য পদার্থের মিশ্রণ ধরা পড়ে ফলে আমেরিকায় এই ব্র্যান্ড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এতকিছুর পরেও ভারতে হলদিরামের বিভিন্ন উৎপাদিত দ্রব্য রমরমিয়ে চলছে।
সিঙ্গারা
সিঙ্গারা ভারতীয়দের কাছে সবথেকে সস্তা ও পছন্দের স্ট্রীটফুডের মধ্যে একটি। কিন্তু ভারতের বাইরে কিছু দেশে সিঙ্গারার উপর নিষধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে। এই সব দেশের খাদ্য পরীক্ষা সংস্থার বক্তব্য হলো সিঙ্গারা মানুষের শরীরের খুব ক্ষতিসাধন করে এবং এটি অনেক রোগভোগের কারণ।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)