Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 16 May, 2020 5:41 AM IST

আমাদের দেশে করলার অনেক প্রজাতির গাছ ও ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সমন্বিত ফল বিদ্যমান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ এই সব্জির গ্রীষ্মে যে সকল প্রজাতির ফলন হয় সেগুলির আকৃতি ছোট আর বর্ষায় যে সকল প্রজাতির ফলন হয়, তা হয় লম্বা। করলা প্রধানত উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলের ফসল। ক্রান্তিয় ও উপক্রান্তিয় অঞ্চলে এর উৎপাদন অত্যন্ত বেশী, তাছাড়া ৩০ ডিগ্রী-এর কম উষ্ণতা সম্পন্ন অঞ্চলেও এর উৎপাদন সম্ভব। ভারতে সমতল অংশে (০-১৫০০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন অংশে) এই সবজির উৎপাদন প্রচুর। এই করলার চাষের জন্য দীর্ঘ উষ্ণ, শুষ্ক, ও রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়ার প্রয়োজন, বিশেষ করে ফল পাকবার সময় শুষ্ক আবহাওয়ার খুবই প্রয়োজন। সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলে শীতেও এর থেকে ফলন পাওয়া যায়।

যেহেতু করলা জন্মায় প্রধানত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে, তাই দক্ষিণ ও মধ্য ভারতে করলাচাষের উপযুক্ত জলবায়ু পাওয়া যায় ও সারাবছর এই অঞ্চলগুলিতে করলা চাষ হয়ে থাকে। ভারতে যে সব করলার চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে পুসা দো মৌসমী, অর্ক হরিত, কোয়েম্বাটোর লং, প্রিয়া (VK-I), MDV-I, পুসা ভিশেষ ইত্যাদি বিখ্যাত জাত।

পুসা দো মৌসমী

সাধারণত আঞ্চলিকভাবে এই করলা চাষ হয়ে থাকে বসন্ত, গ্রীষ্ম, ও বর্ষা ঋতুতে। নিউ দিল্লীর IARI গবেষণাগারে এই প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়েছে। সাধারণত বোনার ৫৫ দিনের মধ্যে এই প্রজাতির উৎপাদন খাদ্যোপযোগী হয়। ফসলের রং গাঢ় সবুজ, লম্বা, মাঝারি মানের পুরু হয়। কোনো কোনো গাছের ফলন দণ্ডের মতো হয়। পরিপক্ক ফল প্রায় ১৮ সেমি লম্বা হয় ও ৮ থেকে ১০ টি ফলের ওজন হয় প্রায় এক কেজি।

অর্ক হরিত

এই প্রজাতির বীজ উৎপাদন হয়েছে IIHR ব্যাঙ্গালোর থেকে, এই প্রজাতির ফল প্রধানত বয়েম আকারের হয়, ফলত্বক মোটা ও পুরুষ্ট, মাঝারি তিক্ত স্বাদের হয় ও বীজের সখ্যা খুব কম। গ্রীষ্ম ও বর্ষাতে এর ফলন হলেও বর্ষাতেই সবথেকে বেশী ফলন হয়। বীজবপনের ৩২-৩৪ দিনের মধ্যেই ফলন খাদ্যোপযোগী হয়ে ওঠে, ১০০-১১০ দিনে হেক্টর প্রতি ১২০ কুইন্ট্যাল ফলন পাওয়া যায়।

কোয়েম্বাটোর লং

কোয়েম্বাটোর এর AIRC, এই প্রজাতির উদ্ভাবন করেছে। ফলগুলি প্রধানত লম্বা, কচি, ও সাদা রঙের হয়। বর্ষাকালেই এর ফলন খুবই ভালো হয়, একেকটি বাগান খুব উৎপাদনশীল ও লাভজনক।

VK-I (প্রিয়া)

এই জাতটির উৎপন্ন হয়েছে কেরালা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি (KAU)-তে। এর ফলগুলি প্রায় ৪০ সেমি লম্বা, বীজবপণ এর ৬০ দিনের মধ্যে প্রথম ফসল পাওয়া যায়, প্রতি গাছে গড়ে ৫৫ টি করে ফলন পাওয়া যায়।

MDV-I

এই জাতটি সবথেকে লম্বা ও উচ্চফলনশীল। এর গাছের শাখাপ্রশাখা খুব মাঝারি মানের হয় ও খুব তাড়াতাড়ি ফুল ধরে। প্রতিটি গাছে গড়ে ২০-২৫ টি ফল ধরে এবং হেক্টর প্রতি ২৫০ কুইন্ট্যাল ফলন ধরে।

পুসা বিশেষ

এই বিশেষ প্রজাতির ফলনটি উৎপাদিত হয়েছে IARI থেকে, এর ঝার খুব ছোট ও খুব সহজেই একে সংরক্ষণ করা যায়, এর ফলগুলি খুব আকর্ষনীয় সবুজ রঙের হয়, এবং প্রচুর অসমান্তরাল গুটি বিদ্যমান, এর বীজ বপনের ৫৫ দিন পর থেকে ফলন পাওয়া যায়।

কীটপতঙ্গ পরিচালন (Pest management) – এই উদ্ভিদে কীটপতঙ্গের আক্রমণ অপেক্ষাকৃত কম হয়। কোনও কীটপতঙ্গ দেখা দিলে জৈব কীটনাশক স্প্রে করুন। পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে

কার্বারিল .১৫ % প্রয়োগ করতে পারেন।  

ফসফরাসে সমৃদ্ধ এই মরসুমি সব্জিটি স্বাদে তিক্ত হলেও মানবদেহকে রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এর জুড়ি মেলা ভার। মানবদেহে ফসফরাস জাতীয় চাহিদা পূরণ হয় এর সেবনে। নিয়মিত করলার সেবন দেহে উদ্দীপনা নিয়ে আসে এবং রক্ত সঞ্চালনকে বিশুদ্ধ করে, প্লীহা ও লিভারের কার্যক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে এবং ডায়াবেটিসেও এটি অত্যন্ত উপকারী।

English Summary: Cultivation Of Bitter Gourd
Published on: 16 May 2020, 05:39 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)