নানা রকমের ফল দিয়ে তৈরী ভারতীয় ফলের চাট খুব সহজে বানানো যায় বাড়িতে। পাঞ্জাব বা দিল্লী, এইসব এলাকার অতি জনপ্রিয় খাবার হল ফলের চাট। নিজের পছন্দের ফলের মিশ্রণে তৈরি এই চাটটি একটি অপৃর্ব খাবার। এর স্বাদ আরও জমে ওঠে, টক লেবুর রস,নুন ও চাট মশলার ছোঁওয়ায়। এই চটপটে টক মিষ্টি স্বাদটাই এর এক আলাদা জায়গা করে দেয়। আমাদের এখানে,আমরা ব্যবহার করেছি কলা,আপেল,পেয়ারা,কিউয়ি,ন্যাশপাতি ও বেদানা। শুধু এমনি সময় নয়, উপোসের সময় এটা বানানো যেতেই পারে। উপোসের জন্য বানালে শুধু নুনের জায়গায় সোঁধক লবণ বা বীটনুন ব্যবহার করুন। ফাইবার ও নানা স্বাস্থ্যের গুণে সমৃদ্ধ এই খাবারটি, বাচ্চা হোক বা বুড়ো, সবার জন্যই আদর্শ। একঘেঁয়ে স্যালাড নয়, চাট কথাটি শুনলেই বাচ্চারাও নেচে উঠবে। তাই ফলের চাট একটা লোভনীয় খাবার। সোজা এবং চট করে বানানো যায় এই ফলের চাটটি। স্বাস্থ্য ও সময় বাঁচানো, দুটোই যদি করতে চান একসাথে, এটা একটা দারুণ উপায়।
পরিবেশন: ৪ জন।
উপকরণ: কলা - ২টো আপেল - ১টা পেয়ারা - ১টা বেদানা - ১/২ কিউয়ি - ১টা ন্যাশপাতি - ১টা লেবুর রস - ৪ চা চামচ বীটনুন - স্বাদ অনুযায়ী চাট মশলা - ১/২ চা চামচ ।
কিভাবে বানাবেন: ১. কলার খোসা ছাড়িয়ে সেটা গোল গোল টুকরো করে কাটুন। ২. আপেলটা অর্ধেক করুন। ভেতরের বীজগুলো ফেলে দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। ৩. পেয়ারার ওপর ও নিচের দিকটা কেটে বাদ দিন। তারপর পেয়ারাটা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। ৪. বেদানাটা অর্ধেক করুন। এরপর একটা কাপে বীজগুলো ছাড়িয়ে রাখুন। ৫. কিউয়িটা খোসা ছাড়িয়ে একইভাবে ছোট ছোট টুকরো কেটে নিন। ৬.ন্যাশপাতির ওপর এবং নীচটা কেটে বাদ দিয়ে, বাকিটা ছোট ছোট টুকরো করে নিন। ৭. সবকটি ফল কাটা হয়ে গেলে ফলগুলো একটা বড় বাটিতে মেশান। ৮. তারপর মেশান লেবুর রস। ৯. এবার দিন বীটনুন। ১০. চাট মশলা দিয়ে ভাল করে সব মেশান। এবার পরিবেশন করুন।
INSTRUCTIONS: 1. আপনার পছন্দের যে কোন ফল এতে দিতে পারেন। ইচ্ছা হলে চাটটি বানানোর সময় লঙ্কার গুঁড়ো বা গোল মরিচ মশাতে পারেন। এতে চাটটা আরও মশালাদার এবং খেতে দারুণ হবে। চাটের স্বাদ বাড়াতে এতে জিরের গুঁড়োও দিতে পারেন। কোন উৎসবের জন্য যদি না হয়, এমনি খেতে হলে এতে বিটনুনও দিতে পারেন।
পুষ্টিগত পরিমাপ: পরিবেশনের মাপ - ১ বাটি
ক্যালরি - ১২০ ক্যালরি, ফ্যাট - ০.৭ গ্রাম, প্রোটিন - ১.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট - ২৪.১ গ্রাম ফাইবার - ২.৭ গ্রাম। এটি যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর।
- Sushmita Kundu (sushmita@krishijagran.com)