আগামী দশকে মহাজাগতিক আবহাওয়া কেমন থাকবে, সৌরকলঙ্কের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তা নির্ণয় করার অভিনব ও সহজ পদ্ধতি বের করলেন কলকাতার দুই বিজ্ঞানী। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইআইএসইআর) সৌরবিজ্ঞানী দিব্যেন্দু নন্দী এবং তাঁরই ছাত্রী এবং পিএইচডি গবেষণারত প্রান্তিকা ভৌমিক। সৌরকলঙ্ক নিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সহযোগী ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ এবং ইন্দো-ফ্রেঞ্চ সেন্টার ফর দ্য প্রোমোশন অফ অ্যাডভান্সড রিসার্চের।
সূর্যে গবেষণাযান পাঠিয়ে পৃথিবীর নিকটতম এবং একই সঙ্গে প্রাণ-স্বরূপ এই নক্ষত্র সম্পর্কে জানতে ভারতের অভিযান ‘আদিত্য-এল-১’ মিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত কলকাতার বিজ্ঞানী দিব্যেন্দু নন্দী। মহাজাগতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতেও যে সূর্যের সাহায্য পাওয়া সম্ভব, তা দেখালেন এই দুই বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর মতোই মহাবিশ্বেরও একটা আবহাওয়া রয়েছে। যে কোনও নক্ষত্রের কাছাকাছি একটা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত ওই আবহাওয়ার অনেকটাই নির্ভর করে সেই নক্ষত্রের সক্রিয়তার উপর। সূর্যের ক্ষেত্রে সক্রিয়তার আভাস মেলে সৌরকলঙ্কগুলোর গতি-প্রকৃতির বিশ্লেষণ করে। সাধারণত, সৌরকলঙ্কগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়তে থাকে। তার পর আবার কমে যায়।
দিব্যেন্দু নন্দীবলেছেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমলেও যে সামনের দশকে পৃথিবীর আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হবে, এমনটা আশা না-করাই ভালো। কারণ, এই সময়ে সৌরকলঙ্কগুলো হঠাৎ বেড়ে উঠবে। এর ফলে প্রবল তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ প্রবাহিত হবে সৌরজগতের সর্বত্র।’ এর ফলে কৃত্রিম উপগ্রহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, পাওয়ার গ্রিডে পাওয়ার ট্রিপ করার ঘটনা বাড়বে, এমনকি পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার জন্য অনেকটাই দায়ী থাকবে সূর্য।’
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)