'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 26 November, 2018 11:13 AM IST

ফরমালিন এত ক্ষতিকর কেন?

খাবার বেশিদিন ভালো রাখতে এবং ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য কিছু ব্যবসায়ী তাদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রির স্বার্থে ফরমারিনের ব্যবহার করে। এতে খাবার অনেকদিন ভালো থাকে ঠিকই, কিন্তু ফরমালিনের বিষ সরাসরি আমাদের পেটে গিয়ে শরীরকে একদম বিষিয়ে তোলে।

কী ক্ষতি হয় ফরমালিনে?

১. ফরমালিনযুক্ত দুধ, মাছ, ফলমূল এবং বিষাক্ত খাবার খেয়ে দিন দিন শিশুদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কিডনি, লিভার ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট, বিকলাঙ্গতা, এমনকি মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। তাদের বুদ্ধিমত্তাও দিন দিন কমছে।

২. ফরমালিনের মাত্রা বেশী থাকলে খাওয়ার পর পরই মানুষের শরীর অবশ হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, শিশুর জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে ও প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।

৩. বৃক্ক, যকৃত, ফুলকা ও পাকস্থলী সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। লিভারেও সমস্যা হতে পারে। কয়েক দিন পরপর ডায়রিয়ায়, পেটের পীড়া, চর্মরোগে আক্রান্তের মাত্রা এখন বাড়ছেই। এগুলো সবই ফরমালিনের কারণে।

৪. শিশুদের দৈহিক স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ফরমালিনের ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৫. অস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যানসারও হতে পারে।

৬. তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।

ফরমালিন দূর করতে কী করবেন?

১. যেকোনো সবজি রান্না করার আগে তা ১০ থেকে ১৫ মিনিট হালকা গরম জলে একটু লবণ মিশিয়ে তাতে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর জল সম্পূর্ণ ফেলে দিয়ে আবার পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন সবজিগুলো। এতে ফরমালিন চলে যাবে।

২. ফলে অনেক বেশি পরিমাণে ফরমালিন মেশানো হয় যাতে পচে না যায়। এজন্য ফল খাওয়ার আগে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা সাধারণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। আর আপেল জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে খোসা ছাড়িয়ে খান।

৩. আর মাছ-মাংস ১ ঘণ্টার বেশি জলে ডুবিয়ে রাখলে প্রায় ৬০ ভাগ ফরমালিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই মাছ মাংস বাড়িতে এনেই কেটে না ফেলে আগেই ১ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে দিন। আরেকটি ভালো উপায়ও আছে। চাল ধোয়া জলের মধ্যে মাছ ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। তারপর সাধারণ জলে ভালোভাবে ধুয়ে নিলে ৭০ ভাগ ফরমালিন চলে যাবে।

৪. ভিনেগার ও জল একসাথে মিশিয়ে ১৫ মিনিট মাছ-মাংস ডুবিয়ে রাখলে পুরো ফরমালিন নষ্ট হয়ে যায়।

৫. শুটকিতে প্রচুর ফরমালিন দেওয়া হয়। এজন্য শুটকি মাছ প্রথমে গরম জলে  একঘণ্টা, তারপর স্বাভাবিক জলে আরও এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ফরমালিন মুক্ত হবার পাশাপাশি স্বাদও বাড়বে, পরিস্কারও হবে

- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)

English Summary: Formalin usage on food
Published on: 26 November 2018, 11:13 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)