এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 1 February, 2019 1:22 PM IST

জীবনযাত্রার ধরন বদলেছে। এখন মানসিক চাপ বা এক কথায় যাকে বলে স্ট্রেস আমাদের নিত্য সঙ্গী। পারিবারিক সমস্যা হোক কিংবা অর্থনৈতিক চাপ, বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি হোক কিংবা কাজের চাপ - একটা না থাকলে অন্যটা সঙ্গী হয়েই দাঁড়ায়। আর সেই কারণেই স্ট্রেস এখন সমাজবিজ্ঞানী থেকে চিকিৎসক, সকলের কাছেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আর স্ট্রেসের প্রভাবে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হার্ট বা হৃদযন্ত্র। তাই যদি আপনি স্ট্রেসে আক্রান্ত হন, অবিলম্বে কয়েকটি পদক্ষেপ করুন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য।

১। মেডিটেশন ঘুম থেকে উঠেই হলে ভালো, না হলে দিনের অন্য সময়ও কে নিতে পারেন মেডিটেশন বা প্রাণায়ম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এই প্রাণায়মের কারণে। তাই হৃদযন্ত্রেও চাপ কম পড়ে। স্ট্রেস থেকে শরীর বাঁচাতে এটা হোক প্রথম পদক্ষেপ।

২। একসারসাইজ একটু ফ্রিহ্যান্ড, বা একটু স্ট্রেচ শরীরের জন্য খুব ভালো। এতে যে পেশির নমনীয়তা বাড়ে, তাই নয়, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদযন্ত্রেও চাপ কম পড়ে। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে একসারসাইজ শুরু করা উচিত। সকলের শরীরে সব ধরনের একসারসাইজ সঠিক ভাবে কাজ করে না।

৩। হাসি থাকুক দিনের একটা সময় বরাদ্দ রাখুন এমন কোনও বই বা সিনেমার জন্য, যা আপনাকে নির্মল আনন্দ দেবে। তারচেয়েও ভালো হয় যদি এমন কোনও সঙ্গীর সঙ্গে দিনের একটা সময় কাটাতে পারেন, যাঁর সঙ্গ আপনাকে খুশি রাখে, তাহলেও আপনার স্ট্রেস কমবে। কারণ হাসি শরীরের জন্য খুব উপকারি।

৪। কান্নাও থাকুক স্ট্রেসে আক্রান্ত হলে নিজেকে বাকি সব কিছু থেকে সরিয়ে নিয়ে একা কাঁদতে পারেন। কান্নায় স্ট্রেস অনেকটাই বেরিয়ে যায় মন থেকে। দ্রুত মন সাফ করার সহজ সমাধান এটি। চিকিৎসকরা অনেক সময়ই বাচ্চাদের জোর করে কাঁদাতে বলেন। কারণ কাঁদলে হৃদযন্ত্রের শক্তি বাড়ে। বড়দের ক্ষেত্রেও কথাটা মিথ্যে না।

৫। পোষ্যর সঙ্গ স্ট্রেস কমানোর ক্ষেত্রে পোষ্যর বড় ভূমিকা রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে, তাঁদের হৃদরোগের আশঙ্কা অন্যদের থেকে অনেকটাই কম হয়। শুধু কুকুর বা বিড়াল নয়, বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম থাকলেও, তার সামনে সময় কাটান। মন ভালো হবে।

৬। শারীরিক সম্পর্ক পরিসংখ্যান বলছে, যে সব পুরুষরা সপ্তাহে দু'দিন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাঁদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। মহিলাদের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি। তবে সংখ্যার হিসেবে বিষয়টা তাঁদের ক্ষেত্রে কত, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে, তা প্রমাণিত।  

৭। পর্যাপ্ত ঘুম প্রতিদিন নিয়ম করে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে। তারচেয়ে বেশি ঘুম যেমন ভালো নয়, তেমনই তার চেয়ে কম ঘুমও স্ট্রেস বাড়িয়ে দেবে। যাঁরা স্ট্রেসে বেশি পরিমাণ আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময় নিয়ে কোনও কার্পন্য করা যাবে না।

- Sushmita Kundu (sushmita@krishijagran.com)

English Summary: Keep your heart healthy and reduce stress
Published on: 01 February 2019, 01:22 IST