Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 5 October, 2018 2:07 AM IST

সম্প্রতি মার্কিন কৃষি দফতরের বিশেষজ্ঞদের করা একটা স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ১০০ গ্রাম করে লালশাঁক খাওয়া শুরু করলে নাকি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফলেট সহ এমন কিছু উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, যা ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে তো দূরে রাখেই, সেই সঙ্গে শরীরের আরও নানাবিধ উপকার হয়। যেমন ধরুন; 

১. ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লালশাঁক নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। আসলে এই শাঁকটির অন্দরে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে ক্ষিদে কমে যায়। আর কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! তাই তো বলি বন্ধু, পুজোর আগে যদি শরীরের ইতি-উতি জমে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে চান, তাহলে নিয়মিত এক বাটি করে লালশাঁক খেতে ভুলবেন না যেন!

২. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে: আজ থেকে যতদিন বাঁচবেন ততদিন যদি আর কখনও ডাক্তারের মুখ দেখতে না চান, তাহলে রোজের ডায়েটে লালশাঁককে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন! কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে প্রতিদিন এই শাঁকটি খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর হয়। ফলে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৩. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে: লাল শাকে উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরে উপস্থিত একাধিক টক্সিক উপাদানের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার সেল যাতে জন্ম নিতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগ পায় না।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বাওয়েল মুভমেন্ট যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদ-হজমের আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও হ্রাস পায়।

৫. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: লালশাঁকে উপস্থিত ভিটামিন সি রেটিনার ক্ষমতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা চোখে কম দেখেন বা পরিবারে গ্লকোমার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই লাল শাক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই উপকার পাবেন। 

৬. কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে: একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত লালশাঁক খেলে একদিকে যেমন কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে, তেমনি অন্যদিকে রক্তে উপস্থিত একাধিক ক্ষতিকর উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে।

৭. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: লালশাঁকের মূল দিয়ে দাঁত মাজার পর নুন জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যায়। সেই সঙ্গে পোকা লাগা সহ মাড়ি এবং দাঁত সম্পর্কিত নানাধিক রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৮. সাপের বিষের তেজ কমায়: এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে ঠিকই, তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দেখা গেছে সাপ বা কোনও সরিসৃপ কামড়ানোর পর যদি ক্ষতস্থানে লাল শাক বেঁটে লাগানো যায়, তাহলে বিষের প্রভাব অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গের উপর বিষেয়র কুপ্রভাব পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৯. লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর হয়: "লালশাঁক খেলে রক্ত বাড়ে শরীরে"- এই কথাটা নিশ্চয় আপনিও ছোট বেলায় শুনেছেন? হ্যাঁ শুনেছি তো! কিন্তু পাতা থেকে কীভাবে রক্ত তৈরি হয়, তা যদিও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি! আসলে বন্ধু পাতা থেকে রক্ত তৈরি হয় না। বরং লালশাঁকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো অ্যানিমিয়া রোগীদের এই শাকটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, ২ আঁটি লালশাঁককে পিষে রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে শরীরে কখনও রক্তের অভাব হবে না।

১০. জ্বরের চিকিৎসায় দারুন কাজে আসে: ওয়েদার চেঞ্জের কারণে যারা জ্বরে ভুগছেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা প্যানে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে এক মুঠো লাল শাক ফেলে দিন। তারপর জলটা ফোটাতে শুরু করুন। যখন দেখবেন ফুটতে ফুটতে জলের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিন। এরপর জলটা টান্ডা করে সেটা পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন জ্বর দে ছুট লাগিয়েছে। ১১. হেয়ার ফলের মাত্রা কমে: এক আঁটি লাল শাঁক ভাল করে বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর তাতে ১ চামচ নুন মিশিয়ে ভাল করে নারান। যখন দেখবেন দুটি উপাদান ঠিক মতো মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা প্রতিদিন করলে চুল পড়ার হার অনেক কমবে।


- Sushmita Kundu

English Summary: lalshak
Published on: 05 October 2018, 02:07 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)