একজন ক্রেতা এখন দোকানে আসতে পারেন, তাঁর প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিতে পারেন, এবং চটজলদি বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। তাদের খরিদ করা বস্তুর জন্য এখন থেকে স্ক্যানিং বা পেমেন্ট-এর দরকার নেই। কোম্পানির CEO মিঃ সুভাষ এস ওয়াটাসেল এর মতে “এর জন্য প্রতি ক্রেতা ‘ওয়াটাসেল’ অ্যাপ তাঁর মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন শুধুমাত্র তাঁর ই-মেল আইডি ও ফোন নম্বরকে রেজিস্টার করে।“ এই নতুন প্রযুক্তি প্রমান করেছে যে এই কৃত্রিম ক্যাশিয়ার আগামী দিনে খুচরো কারবারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।
‘ওয়াটাসেল’ কেরালার কোচি-তে অবস্থিত একটি আধুনিক দোকান, যা কিনা পুরোটাই স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে তৈরী। এই স্বয়ংক্রিয় বিপণীটি আমেরিকার আমাজন গো-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরী করা হয়েছে। আপনি শুধু আপনার নিজের জিনিশটা পছন্দ করে দোকান ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে পারেন, এতে সেই দ্রব্যের দাম আপনার ই-ওয়ালেট থেকে আপনা থেকেই কেটে যাবে। ৫০০বর্গফুটের একটি বিপণী এই সপ্তাহে খোলা হয়েছে যা সাধারণত কৃত্রিম ইন্ট্যালিজেন্স, ক্যামেরা, প্রযুক্তি এবং সেন্সর সমন্বিত। এই স্বয়ংক্রিয় বিপণীর ছাদ ও তাকে প্রচুর উন্নতমানের সেন্সর ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি প্রতি মূহূর্তে সমগ্র বিপণীটির নজর রাখছে। এই ক্যামেরাগুলি প্রতিটা মূহুর্তে ক্রেতা সাধারণের দ্রব্য নেওয়া বা তাকে রেখে দেওয়ার উপর নজরআন্দাজ করছে। এই বিপণীটি অন্যান্য সমস্ত ক্যাশিয়ার বিহীন বিপণীর চেয়ে অনেক বেশী উন্নত যেখানে ক্রেতারা তাদের নিজেদের গৃহীত দ্রব্য স্ক্যান করিয়ে নিতে পারে। কোম্পানির CEO বলেছেন যে বর্তমানে ১৮০ টি দ্রব্যের এই মূহূর্তে প্রদর্শন রয়েছে এই বিপণীতে, তবে খুব শীঘ্রই আরও অনেক পণ্যদ্রব্যকে তারা এই বিপণীর আওতায় আনা হবে, এবং ভবিষ্যতে বেঙ্গালুরু ও দিল্লী পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
ভেরিফিকেশন টেকনোলজি কোম্পানির CEO মিঃ জ্যাক ওয়েদারলির মতে “আজকাল বাজার স্বস্তি চায়, আগামী নতুন বছরেই দেখা যাবে বিভিন্ন মাল্টিচ্যানেল গুলি রিটেইলিং কারবারে অংশগ্রহণ করবে। তাই সমস্ত ব্যবসায়ীক জগতের কাছে ক্রেতা স্বচ্ছলতা সম্বন্ধে একটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দল তৈরি করবে যারা শুধু মাত্র অভিজ্ঞতা সম্পন্নই হবে তা নয়, প্রযুক্তির প্রয়োগ-ও করতে জানবে, এবং তার সাহায্যেই তারা তাদের ক্রেতাদের মনোভাব আরও গভীরভাবে বুঝতে পারবে ।
- প্রদীপ পাল