অনেকেই চাকরি থেকে ব্যবসা করতে বেশি ইচ্ছুক থাকেন৷ আবার অনেকে নিজস্ব কিছু করতে চান বলে ব্যবসার দিকে ঝোঁকেন৷ কিন্তু মাঝখানে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় পুঁজি৷ তাই বড় স্তরে ব্যবসার ইচ্ছে থাকলেও তা আর করা হয়ে ওঠে না৷ কিন্তু তার মানে ব্যবসা কখনোই শুরু করতে পারবেন না তা নয়৷ এমন অনেক ব্যবসাই রয়েছে যেখানে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়৷ আবার এমন ব্যবসা করতে পারেন যা স্বল্প পুঁজিতে (Low Investment Business) বাড়িতে বসেই করতে পারবেন নিজে৷ এই প্রতিবেদনে তেমনই কয়েকটি ব্যবসার ধারণা তুলে ধরা হল৷
১) কফিশপ -
ক্যাফে বা কফিশপের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে শহরতলীতে আর মফস্বলে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এটি। কফি শপে বসে মানুষদের পড়ার জন্য রাখতে পারেন কিছু গল্পের বই ও ম্যাগাজিন। মনে রাখবেন, ক্যাফের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ মানুষকে আকর্ষণ করার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। সাথে রাখুন সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে খাবার মূল্য। খাবারের মেনুর তালিকায় রাখতে পারেন দেশী বিদেশি রেসিপি। ‘পকেট ফ্রেন্ডলি’ দামে অভিনব আইটেম হলে ভিড় বাড়বে বৈকি। পাশাপাশি রাখতে পারেন খুচরো গিফ্ট আইটেম বিক্রির ব্যবস্থা। অল্প টাকায় এই ব্যবসা শুরু সম্ভব।
২) বেবী কেয়ার সেন্টার -
বর্তমান যুগে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কর্মরত, অনেকেই বাচ্চাকে বাড়িতে একা দেখাশোনা করার লোকের হাতে রেখে নিশ্চিন্তবোধ করেন না। ফলে বাচ্চাকে সেই সময়টুকু রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে ডে কেয়ার সেন্টারের। আপনি যদি বাচ্চা ভালবাসেন আর তাদের দেখভাল করতে পছন্দ করেন তাহলে অত্যন্ত অল্প টাকায় খুলতে পারেন ডে কেয়ার সেন্টার।
কয়েকজন বাচ্চাকে একসাথে রাখার জন্য প্রয়োজন কিছুটা জায়গার। আপনার নিজের বাড়িতে বাড়তি ঘর থাকলে অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে এই ব্যবসা। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য কিছু খেলনা রাখতে হবে আপনাকে।
৩) ওয়েব ডিজাইনার -
ইন্টারনেটের যুগে বাড়ছে ডোমেন আর হোস্টিং পরিষেবার চাহিদা। বর্তমানে ছোট থেকে বড় প্রায় সব কোম্পানির রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি থেকে ওয়েব ডিজাইন প্রতিটি ক্ষেত্রেই বেশীরভাগ সংস্থার দরকার পড়ে ডিজাইনারের। এই কাজ জানা থাকলে তো কথাই নেই, আর যদি জানা নাও থাকে তাহলে তা শিখে নিয়ে অল্প পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা।
অল্প টাকায় ব্যবসা করার জন্য নিজের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ফেলুন নতুন ধরণের উপহার সামগ্রী। ক্রেতার পছন্দ, চাহিদা ও ইচ্ছেমতো তাতে আনুন ব্যক্তিগত ছোঁয়া।
৪) ফটোগ্রাফার -
ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফির ব্যবসা হয়ে গেছে অনেক সহজ। স্টুডিও বা ডার্করুমের আর কোন প্রয়োজন নেই। ভাল ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকলেই শুরু করা যায় এখন এই ব্যবসা।
বিয়ে থেকে শুরু করে যে কোন ইভেন্ট, সকল অনুষ্ঠানে এখন ফটোশ্যুট যেন বাধ্যতামূলক। সুতরাং, ফটোগ্রাফির শখ থাকলে ছবি তুলে হতে পারে ভাল আয়। তবে প্রথমেই বুঝে নিতে হবে ক্রেতার পছন্দ ও চাহিদা। নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে ক্রেতার কাছে পৌঁছনো অনেক সহজ হয়। ভালো কাজ করলে আর তা একবার প্রচার হয়ে গেলে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কোম্পানির থেকে ডাক পেতে পারেন।
৫) জনৌষধি কেন্দ্র (Janausadhi Kendra)-
এই ব্যবসাটি তাদের পক্ষে একটি ভাল বিকল্প হতে পারে, যাদের প্রায় ১৩০ বর্গফুট জমি আছে। কারণ এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রয়োজন জমির, যেখানে তারা একটি দোকান তৈরি করতে পারে এবং সেখানে একটি জনৌষধি কেন্দ্র খুলতে পারে। সরকারী স্কিমের সুযোগ নিয়ে আপনি জনৌষধি কেন্দ্রটি খুলতে পারেন।
Image source - Google
Related link - (Subsidy on agriculture machinery) কৃষি যন্ত্র ক্রয় করতে চান সরকারি ভর্তুকিতে? এই লিঙ্কে ক্লিক করুন