প্রধান ব্যবহার : সাবান
অন্যান্য ব্যবহার : চুলের খুশকি, মাথার একজিমা আর উকুন দুর করতেও এর ব্যবহার করা হয়।
শিকাকাইয়ের সাথে রিঠা মিশিয়ে শ্যাম্পু বানিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ করে আর নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
রিঠা (Acaccia Concinna) লিচু জাতীয় গাছের অন্তর্গত। রিঠা দেখতে গোল শুকনো বরইয়ের মত।
এর বোটানিকাল নাম থেকেই বোঝা যায় সোপ বা সাবান হিসাবে এর ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের জানা। আজও গ্রামে এর বিপুল ব্যবহার আছে। এতে কাপড় চোপড়, কাঁথা ও লেপও ধুয়ে ফেলা যায়। এতে প্রচুর ফেনা হয়। চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করে রিঠা ব্যবহার খুব কাজে আসে।
শ্যাম্পু চুল পড়া বন্ধ করে না, শ্যাম্পু বরং চুল পড়ার কারণ। এর জন্য দায়ী শ্যাম্পুতে থাকা সোডিয়াম লরেথ সালফেট এবং সিলিকন। রিঠা আর শিকাকাই দিয়ে শ্যাম্পু শিকাকাই, উপমহাদেশে কেশ চর্চায় প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত। এর ফল আর বাকল থেকে শ্যাম্পু তৈরি করা হয়।
এতে যে ফেনা হয় তা শ্যাম্পু থেকে কম হলেও চুল পরিষ্কার করবার ক্ষেত্রে বাজারের শ্যাম্পুর চেয়ে অনেক ভাল কাজ করে পাশাপাশি এটা ন্যাচারাল কন্ডিশনারের কাজও করে। যাদের চুল কোমর ছাড়িয়ে যায়। তারা ১৫-২০ টা রিঠা আর ৫-৭ টা শিকাকাই ব্যবহার করবেন। চুল কম।হলে পরিমান মতো কম লাগবে। আপনার চুল যদি বেশি রুক্ষ হয় তবে শিকাকাই এর সংখ্যা বাড়িয়ে রিঠা কমাবেন। কারণ শিকাকাই চুল মসৃণ আর নরম করে।
রিঠা আর শিকাকাই বাজারে পাওয়া যাবে, পাউডার হলেও অসুবিধা নাই। সেইক্ষেত্রে চার চামচ রিঠার সাথে দুই চামচ শিকাকাই মেশাবেন। আস্ত রিঠা আর শিকাকাই কেনাই ভাল। প্রথমে রিঠার বীজ বের করে নিয়ে শিকাকাই সহ কয়েক ঘণ্টা জলেতে ভিজিয়ে রাখলে এগুলো নরম হবে। এই পদ্ধতিতে এক সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করার মত শ্যাম্পু তৈরি হবে। এরপর একটা কড়াইতে এগুলো ডুবিয়ে জলে ঢেলে রিঠা আর শিকাকাই ভেজান জল সহ ১৫-২০ মিনিট চুলায় অল্প
আঁচে সিদ্ধ করতে হবে। ফেনা দেখা গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা করে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করুন। ছেঁকে নিয়ে শুধু জলটা কিম্বা সব ফল একসাথে কচলে নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
রিঠা আর শিকাকাই দিয়ে বানানো সাবান দিয়ে চুল ধুয়ে নিন বেশিক্ষণ চুলে ফেনা থাকবে না। কিন্তু তাতে অসুবিধার কিছু নাই। ফেনার আশায় জল মেশানোর দরকার নেই। এতে অতিরিক্ত রিঠা চুল শুকিয়ে ফেলবে। চুল এমনিতেই পরিষ্কার হবে। তিন চার মিনিট ভালো ভাবে মাথা ম্যাসেজ করে ধুয়ে ফেলুন।
তথ্য: সংগ্রিহীত
রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)