Reliance Foundation - উৎপল বাবু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরামর্শে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ধান সাশ্রয় করেছেন বিগত খারিফ মরসুমে

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আবারও রাজ্যের এক কৃষকের জীবনে এল সাফল্য। এই খরিফ মরসুমে ধান চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছিলেন কৃষক উতপল রায়। কিন্তু জমিতে হঠাৎ রোগ পোকার আক্রমণে প্রত্যাশিত ফলনের পূর্বেই স্বপ্নভঙ্গের আভাস দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরামর্শে চিত্র বদলে গিয়ে চাষে সফলতার মুখ দেখলেন তিনি।

স্বপ্নম সেন
স্বপ্নম সেন
Success story
Farmer Utpal Ray

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের (Reliance Foundation) সহায়তায় আবারও রাজ্যের এক কৃষকের জীবনে এল সাফল্য। এই খরিফ মরসুমে ধান চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছিলেন কৃষক উতপল রায়। কিন্তু জমিতে হঠাৎ রোগ পোকার আক্রমণে প্রত্যাশিত ফলনের পূর্বেই স্বপ্নভঙ্গের আভাস দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরামর্শে চিত্র বদলে গিয়ে চাষে সফলতার মুখ দেখলেন তিনি।

বীরভূম জেলার রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিজুরি গ্রামের মধ্যবয়সী বাসিন্দা উৎপল রায় (Successful farmer) । চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির মূল জীবিকা পারিবারিক কৃষি। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পারিবারিক কৃষি কার্যে জড়িয়ে পড়ার জন্য আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন নি এবং বাবার সাথে কৃষিকার্যে যুক্ত হয়ে পড়েন।

উৎপাল বাবুর মোট বিঘা জমি আছে এবং বর্তমান খারিফ মরশুমে তিনি ৮.৩৩ একর জমির মধ্যে ৬.৬৬ একর জমিতে ধান চাষ করেন। কিন্তু ধান রোপনের কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য করেন প্রায় ৩.৩৩ একর জমির ধানের পাতাগুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। মানসিকভাবে খুবই দুশ্চিন্তায় পড়েন উৎপাল বাবু।  এরই মধ্যে গ্রামের এক কৃষকভাইয়ের মাধ্যমে উৎপাল বাবু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের জীবিকার উন্নয়নে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ ও হেল্পলাইন তথ্য পরিষেবার কথা জানতে পারেন।

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তা -

মূলতঃ গ্রামের কৃষকভাইয়ের উদ্যোগে তাঁর পরিচয় ঘটে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কর্মী মৃনাল বাবুর সাথে। এরপর মৃনাল বাবুর সহায়তায় রথীন্দ্র কৃষি  কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র ও রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের যৌথ পরিচালনায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপের মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।

উৎপল বাবু সমস্যার কথা হোয়াটসঅ্যাপ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন এবং কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে এবং সমাধানের জন্য কীটনাশকের নাম এবং ব্যবহার পদ্ধতি বলে দেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ- এর কথামতো উৎপল বাবু জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য করেন যে উনার সমস্ত ধানের গাছ গুলো সতেজ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন - Dragon Fruit Farming – ড্রাগন ফল চাষে অভাবনীয় সাফল্য পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বাসিন্দার

উৎপল বাবু বলেন, ৬.৬৬ একর জমিতে  প্রায় ১৪০-কুইন্টাল ধান হয় প্রতিবছর কিন্তু  সেই বছর মাজরা পোকা দমনের জন্য কীটনাশক যদি না ব্যবহার করত তাহলে তার ৭০- কুইন্টাল ধান নষ্ট হয়ে যেতো।

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে উৎপালবাবু বলেন, সময় মতো সঠিক তথ্য দিয়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন তাঁর ধানক্ষেত রক্ষা করেন, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯৬ হাজার টাকা। কৃষি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার জন্য আপনিও যোগাযোগ করতে পারেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনে, টোল ফ্রি নম্বর – ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০।

আরও পড়ুন - Money Plant Framing – বায়ু পরিশোধক উদ্ভিদ মানি প্ল্যান্টের চাষ ও পরিচর্যা পদ্ধতি

Published On: 27 August 2021, 11:41 PM English Summary: Farmer Utpal Ray on the advice of Reliance Foundation has saved about 1 lakh rupees of paddy in the last kharif season

Like this article?

Hey! I am স্বপ্নম সেন . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters