আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে অতিষ্ঠ বঙ্গ জনজীবন। কখনও অধিক শীত আবার কখনও অধিক বৃষ্টি আবার অনেক সময় প্রবল গরমে ওষ্ঠাগত বাংলার মানুষ। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই কদিন আবারও শীত জাঁকিয়ে পড়েছিল বাংলায় কিন্তু সেখানেও নজর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। এর প্রভাবে বৃষ্টির কালো মেঘ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না বঙ্গজীবন। আবারও বৃষ্টির সম্মুখীন রাজ্যের ৫ টি জেলা। ঠিক কবে এই বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাবে গোটা বাংলা। একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি। কেন আবহাওয়ার এই আচরণ বাংলার বুকে। গবেষণায় উঠে এল ভয়াবহ তথ্য। এখনও বঙ্গের মাথায় ঝুলছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা , অতিবৃষ্টি, খরা ইত্যাদির কাঁটা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ শহর কলকাতায় নিম্নমুখী পারদ। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টির সম্মুখীন পশ্চিম মেদিনীপুর। আজ সকাল থেকেই এই জেলার আকাশ মেঘলা। সঙ্গে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। শুধু মেদিনীপুর নয় বৃষ্টি হবে উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আগামী কাল বৃষ্টির প্রকোপ পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কিন্তু কেন এই লাগাতার বৃষ্টি? জলবায়ুর এত খামখেয়ালিপনা। গোটা বছরই কি বৃষ্টির প্রভাব থাকবে বঙ্গে? কি উঠে এল গবেষণায়?
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক সম্ভাবনা। সঙ্গে রয়েছে ঝড়, বন্যা, অতিবর্ষণ, বজ্রপাত ও খরার আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়ের কাঁটা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। সঙ্গে দোসর প্রবল জলোচ্ছ্বাস। খরার সম্ভাবনা বীরভূম ও নদিয়া জেলায়। মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়া বাদ দিয়ে অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাদে গোটা রাজ্যে। এই গোটা বছরে দুর্যোগের সম্মুখীন হতে পারে বাংলা।
প্রসঙ্গত, আবারও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপ বঙ্গে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা নেই বাংলার। পাশাপাশি শীত ফেরার আর কোনও সম্ভাবনায় দেখতে পাচ্ছে না হাওয়া অফিস। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির কবলে রাজ্যের বেশ কিছু জেলা। আবার উত্তরবঙ্গে রয়েছে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং এ ফের দেখা গেছে তুষারপাত।
আরও পড়ুনঃ সাহারা মরুভূমিতে তুষারপাত: তাপমাত্রা -2 ডিগ্রি! উষ্ণতম মরুভূমি আবৃত তুষারের চাদরে