গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলি। গত ৫৫ দিন টানা বৃষ্টি নেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিদিন সকাল ৬টা বাজতে না বাজতেই সূর্যের তাপ ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা গড়াচ্ছে আর তাপমাত্রা বাড়ছে, সূর্যের দাপট আরও যেন প্রখর হচ্ছে ।
গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রার এই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে হাঁসফাঁস হয়ে উঠেছেন বাংলার মানুষ। একই দশায় পড়েছে গবাদিপশু-পাখিও।
গতকাল সোমবার ও রোবিবারের পরিস্থিতি আরও বেশি অসহনীয়। প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরমের প্রভাবে বাজার-ঘাটেও তেমন লোকজন দেখা যাচ্ছে না।কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই।
আরও পড়ুনঃ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার! বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সতকর্তা, কি বলছে হাওয়া অফিস
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতেও আগামী কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এরকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এ দিকে অতিরিক্ত গরমজনিত কারণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, অ্যাজমা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়ছে মানুষ। এ অবস্থায় বাইরে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যথায় পানিশূন্যতা থেকে ডায়রিয়া-জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি হিট স্ট্রোকেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহের সতর্কতা বঙ্গে! স্কুল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
এই গরমে কৃষকদের চরম ভোগান্তির মুখে পরতে দেখা গেছে। কষ্ঠ হলেও হয়ে কৃষকদের মাঠে কাজকরতে হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকলেও প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি।
আবহাওয়া অফিসের ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে জানা যায়, রাজ্য়ের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রাও।