অ্যারোপোনিক ফার্মিং: দেশে আলু ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বাইরের দেশেও ভারতের দেশি আলুর ভালো চাহিদা রয়েছে। এটি রবি মৌসুমের প্রধান সবজি ফসল, যা শুধুমাত্র শীতল আবহাওয়ায় উৎপাদিত হয়। বেশির ভাগ কৃষকই শুধু ঐতিহ্যবাহী আলু চাষ করেন, যার কারণে বিশেষ কিছু উৎপাদন পাওয়া যায় না। কখনো কখনো বৃষ্টি ও খরায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়। মাটির ঘাটতিও অনেক এলাকায় ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে।
আধুনিক আলু চাষের মাধ্যমে এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব। কৃষি বিজ্ঞানীরা আলু চাষের জন্য এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করেছেন যে মাটির ভিতরে উৎপাদিত আলু এখন বাতাসে জন্মাবে। শুধু তাই নয়, আলুর ফলনও বাড়বে ২০%। এখন পর্যন্ত আলু চাষের জন্য কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম এবং অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল, তবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম খরচে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে, যা কৃষকরাও লাভবান হবে। চলুন জেনে নিই এই আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে।
একটি কাঠামো প্রস্তুত করা হয়, যেখানে তৈরি আলু গাছের চারা মাটিতে না করে উচ্চতায় রোপণ করা হয়, যাতে শিকড় বাতাসে ঝুলে থাকে। খোলা আকাশের নিচেও এরোপনিক চাষ করা হয়, তবে এই পদ্ধতিতে সার ও মাটির প্রয়োজন নেই। আলু গাছ লাগানোর পর পানির মাধ্যমে শিকড়ে পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। এদিকে, গাছটি বাতাস এবং আলো পেতে থাকে। শুধুমাত্র সঠিক প্রশিক্ষণ এবং জল ও পুষ্টির ভিত্তিতে আলুর ভালো ফলন পাওয়া যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মধ্যে, অ্যারোপোনিক প্রযুক্তি আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়, কারণ মাটির ঘাটতি ফসলে প্রাধান্য পায় না। এই চাষ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে ক্ষেতের চেয়ে অনেক বেশি উৎপাদন পাওয়া যায়। এছাড়াও, গাছগুলি পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয় না এবং কোনও ছত্রাকজনিত রোগের কারণে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
Share your comments