রঙ ধরার আগেই মাটিতে খসে পড়ছে কমলা লেবু। যার জেরে চিন্তায় পড়েছে বক্সা পাহাড়ের কমলালেবু চাষিরা। চলতি মরশুমে কমলা লেবুর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি ছিল চাষিরা। কিন্তু হঠাৎ অজানা রোগের হানায় ঠিক মত রঙ ধরার আগেই মাটিতে খসে পড়ছে ফল। যে কারনে চলতি মরশুমে লাভের মুখ তো দেখতে পাবেন না চাষিরা বরং ক্ষতির সম্মুখীন হবে তারা।
বলাচলে বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দাদের সারাবছরের মূল আয়ের উৎস ছিল কমলালেবু। কারন ওখানকার বাসিন্দারা অনান্য ফসলের চাষ জানতো না। আশির দশকের মাঝামঝি সময়ে বনদফতরের নির্দেশে প্রচুর পরিমানে কমলালেবু গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৯৩ সালে ভয়াবহ বন্যায় সব কিছু অস্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল বাগিচা চাষিদের। তবুও যে পরিমাণ গাছ ছিল তা থেকেই লেবু বিক্রি করে অনায়সেই চলে যেত বক্সা পাহাড়ের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের ভুট্টা চাষে নতুন দিশা দেখাতে তৈরি হচ্ছে ভুট্টা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প!
বক্সা পাহাড়ের ডুকপা জনজাতির বাসিন্দারা কমলালেবু চাষ করেন। তবে বর্তমান সময়ে বক্সা পাহাড়ের চুনাভাটি, বক্সা ফোর্ট,তাসিগাঁও এলাকায় কমলালেবুর বাগান রয়েছে। চাষিদের কথায়, চলতি বছরে লেবুর ফলন ভালো হলেও। অজানা রোগের কারনে গাছে পাক ধরার আগেই তা খসে যাচ্ছে। এর ফলে প্রচুর ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে একাধিক মিডিয়া সুত্রে খবর, জেলার উদ্যান ও কানন বিভাগের আধিকারিকদের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত রোগ নির্ণয় করে কমলা বাগান গুলিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
এক সময় বক্সা পাহাড়ের এত পরিমাণ কমলালেবু চাষ হতো আর ফলনও এত পরিমানে হতো যে কমলালেবু পাহাড় থেকে নীচে নামানোর জন্য নেপাল থেকে কয়েকশো শ্রমিক আসতেন। তবে সেসব দিন এখন বক্সা পাহাড়ের পাথরে চাপা অতীত।
আরও পড়ুনঃ কৃষিক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল গম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছে সরকার
Share your comments