ভারত নদীমাতৃক দেশ এবং কৃষিক্ষেত্র এই দেশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কারণ এখানে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে সংযুক্ত। তবে নব্বইয়ের দশকে যে কৃষিক্ষেত্র ছিল এবং আধুনিক যুগে যে কৃষিক্ষেত্র তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে, কৃষক বলদের সাহায্যে কৃষিকাজ করতেন কিন্তু এখন তিনি যন্ত্রের সাহায্যে চাষ করেন। সুতরাং, এই সময়ের কৃষিক্ষেত্রকে যান্ত্রিক কৃষিকাজ যদি বলা হয়, তবে তা অতিরঞ্জিত হবে না। এই সময়ে কৃষিতে সহায়ক ডিভাইসগুলি হল রিপার কাম বাইন্ডার, অটোমেটিক রিপার, রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার, রোটাভেটার, ট্র্যাক্টর ইত্যাদি। এগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ট্র্যাক্টর ।
রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষ্যে অনেক সময়ে এই ডিভাইসগুলি কেনার জন্য ভর্তুকি দিয়ে থাকে। মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের জন্য সরকার বর্তমানে ‘কৃষি-যান্ত্রিক পরিকল্পনা’ নামে একটি প্রকল্প পরিচালনা করেছেন। এই প্রকল্পটি প্রথম সারির পরিবেশনার ভিত্তিতে রয়েছে, অর্থাৎ বিলম্ব না করে কৃষকরা শীঘ্রই যোগাযোগ করুন। কৃষকরা যদি ট্রাক্টর বা কোনও কৃষি সম্পর্কিত সরঞ্জাম ক্রয় করতে চান, তবে তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি পেতে পারেন।
যদি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান তবে https://dbt.mpdage.org/Eng_Index.aspx লিঙ্কটিতে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময়, নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজন -
আধার কার্ডের কপি
ব্যাংক পাসবুকের প্রথম পৃষ্ঠার অনুলিপি
যোগ্য আধিকারিকের দ্বারা জারি শংসাপত্র (কেবল তফসিলি জাতি ও উপজাতি কৃষকদের জন্য)
বিদ্যুৎ সংযোগের প্রমাণ (সেচ সরঞ্জামের ক্ষেত্রে)
ট্র্যাক্টর ক্রয়ের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী -
যে কোনও বিভাগের কৃষকরা ট্র্যাক্টর কিনতে পারবেন। কিন্তু যারা বিগত ৭ বছরে ট্র্যাক্টর বা পাওয়ারটিলার ক্রয়ে কোনও প্রকল্পের আওতায় অনুদানের সুবিধা পাননি, কেবলমাত্র সেই কৃষকই এই প্রকল্পে সুবিধাভোগী হবেন । ট্র্যাক্টর এবং পাওয়ারটিলারের যে কোনও একটিতে অনুদানের সুবিধা কৃষক পেতে পারেন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments