কৃষিজাগরন ডেস্কঃ শ্বেত চন্দন ভারতের বিন্ধ্যপর্বতের দক্ষিণে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে ভালো জন্মায়। তবে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যাতেও চন্দন দেখা যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। ধারণা করা হয় চন্দন ভারতীয় গাছ এবং নারায়ণ, মহাভারত এমনকি কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও (খ্রিষ্টপূর্ব-২০০) চন্দনের উল্লেখ আছে। তবে কেউ কেউ মনে করেন চন্দনের আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়ার তিমুর দ্বীপে।
দেশের কৃষকদের আর্থিক উন্নতির একটাই উপায় আর তা হল স্বল্প ব্যয়ে আরও বেশি মুনাফা অর্জন।ক্ষুদ্র থেকে বড় প্রতিটি কৃষকের লক্ষ্য কৃষি কাজ করে উপার্জনের সাথে সাথে নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি। অনেক কৃষক আছেন যারা ঐতিহ্যবাহী চাষ থেকে দূরে সরে গিয়ে এমন কিছু চাষ করতে চান যা তাদের ভাল লাভ দিতে পারে। তেমনি একটি অর্থপ্রদানকারী গাছ হল শ্বেত চন্দন।
আরও পড়ুনঃ মাছ চাষের সঙ্গে সবজি চাষ, শিখে নিন কৌশল
চন্দন সাধারণত তিন প্রকারের (types of sandalwood), শ্বেতচন্দন, রক্ত চন্দন (red sandalwood) বা লাল চন্দন,পিত চন্দন। তবে পিত চন্দনের কথা শোনা গেলেও এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। শ্বেত এবং রক্ত চন্দন দুটিই ঔষধ ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহার হয়। এর মধ্যে শ্বেতচন্দন এর মূল্য বেশী। একটি চন্দন গাছ নামমাত্র পরিচর্যায় ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে পেনশনের মত আর্থিক সুবিধা দিতে পারে।
একটি চন্দন গাছ বিক্রির উপযুক্ত হতে ১২ বছর সময় লাগে আর প্রথম চার বছর এই গাছটিতে কোন সুগন্ধ থাকে না। চন্দন গাছ যথোপযুক্ত হতে ১২ বছর সময় লাগে।এই ১২ বছর পর ১৫০-২০০ কেজি চন্দন কাঠ তৈরি হয় যার আর্থিক মূল্য ১০ লক্ষেরও বেশি। চন্দন গাছ ভীষণ দামি হওয়ার কারণে এই গাছটিকে চুরির হাত থেকে বাঁচাতে হয়।
আরও পড়ুনঃ আমলকি চাষ করবেন? শিখে নিন সহজ পদ্ধতি,লাভ হবে প্রচুর
গাছের বয়স ২০ হলে এই গাছ থেকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি কাঠ পাওয়া যাবে । মাটির উপরের ভাগের কাঠের দাম বর্তমান বাজারে যা ১৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি৷ তবে ২০ বছর পর আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এমনকি মাটির ভিতর শিকড় ইত্যাদি কাঠও পাওয়া যেতে পারে নয় নয় করেও প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার। অর্থাৎ বর্তমানে কোনও গাছ রোপণ করলে ২০ বছর পর অনায়াসেই আপনি গাছের সংখ্যা অনুযায়ী ৬০ লক্ষ থেকে কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন।
Share your comments