আমাদের দেশের বিশাল সংখ্যা এখনও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির সাহায্যে কোটি কোটি কৃষকের বাড়ি চলে। সরকার কৃষকদের সুবিধার জন্য অনেক পরিকল্পনা নিয়ে আসে। একইভাবে, কেন্দ্রীয় সরকার বাঁশ চাষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ 'জাতীয় প্রকল্প নিয়ে এসেছে । এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বাঁশ চাষে ভর্তুকি দেওয়া হবে। যাতে কৃষকরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারেন। কৃষকরা এখনো গ্রামে ব্যাপক হারে বাঁশ চাষ করেন। বাঁশ চাষের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://nbm.nic.in/ ও রয়েছে। কৃষকরা বাঁশ চাষ সম্পর্কিত প্রতিটি তথ্য এই ওয়েবসাইটে পাবেন ।
বাঁশের ব্যবহার
বাঁশ নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। এটি প্রধানত নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন মেঝে, সিলিং ডিজাইনিং এবং ভারা ইত্যাদি। এটি দিয়ে আসবাবপত্রও তৈরি করা হয় । এছাড়া বস্ত্র, কাগজ, সাজসজ্জার সামগ্রী ইত্যাদিতেও বাঁশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, বাঁশ থেকে ঝুড়ি ও লাঠিও তৈরি করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাঁশ দিয়ে বোতল তৈরির প্রবণতাও খুব দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩৬ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে এবং প্রতি বছর ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি বাঁশ উৎপাদিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ৪ টি ফল যা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা অলৌকিক ভাবে কমাতে পারে!
সরকার প্রতি গাছে ১২০ টাকা হারে বাঁশ চাষে কৃষকদের সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক হেক্টরে ২০০০ টি বাঁশের চারা রোপণ করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে বাঁশ লাগালে একটি গাছ থেকে অন্য গাছের দূরত্ব কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই মিটার হতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনি মাঝখানে অন্য কোন ফসল লাগাতে পারেন ।একবার বাঁশ লাগানোর পর আর ৩০ বছর বাঁশ চাষ করতে হবে না। সঠিকভাবে বাঁশ চাষ করলে কৃষকরা বাম্পার লাভ করতে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন উচ্ছে চাষের আধুনিক উপায়
Share your comments