ভারতীয় রান্নায় স্বাদ এবং রঙ আনতে হলুদের এক আলাদায় ভূমিকা রয়েছে। রান্না ছাড়াও এর রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা। আয়ুর্বেদে হলুদকে ওষুধের ভাণ্ডার বলা হয়। গুঁড়ো হলুদের তুলনায় কাঁচা হলুদের গুনাগুন আরও বেশি। পুষ্টিগুণে ভরপুর এমনই একটি হলুদের প্রজাতি হল কালো হলুদ। কি কালো হলুদ শুনে অবাক হচ্ছেন? একদমই ঠিক দেখছেন। নামে হলুদ হলেও রঙে কালো হলুদের অস্ত্বিত্ব রয়েছে। এই জাতের হলুদের বৈজ্ঞানিক নাম Curcuma caesia।
কালো হলুদ সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঔষধি পণ্যগুলির মধ্যে একটি। কালো হলুদ অত্যন্ত মূল্যবান কারণ এর উচ্চ ঔষধি গুণ রয়েছে। এই জাতের হলুদ বিশেষ সময়কালে চাষ করা হয়। কালো হলুদ সাধারণত জুন মাসে চাষ করা হয়। এর চাষের ক্ষেত্রে মাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। এ ফসল উৎপাদনের সময় বৃষ্টির জল যাতে জমিতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক হেক্টরে সাধারণত 2 কুইন্টাল কালো হলুদের বীজ বপন করা হয়। এই চাষে খুব বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। কালো হলুদের ঔষধি গুণের কারণে এটি পোকামাকড় মুক্ত। তাই কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। হলুদের এই জাতের উতৎপাদনের জন্য পুষ্টিকর পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সারের বেশি প্রয়োজন।
কালো হলুদ চাষের জন্য গোবরের ব্যবহার বিশেষভাবে উপযোগী। আপনি যদি এক একরে কালো হলুদ চাষ করেন তবে আপনি সহজেই 50 থেকে 60 কুইন্টাল হলুদ পেতে পারেন। প্রতি কুইন্টাল 4,000 টাকা পর্যন্ত কালো হলুদ বিক্রি করা যায়।
আরও পড়ুনঃ রহস্যময়ী লজ্জাবতী গাছের অবাক করা এই গুনগুলি জানেন?
কালো হলুদের গুনাগুন
এটি জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, ত্বকের ব্যাধি, শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি, ডিসপেপসিয়া, বমি, পেটে ক্র্যাম্প, কাশি ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিস্ময়কর কাজ করে। কালো হলুদ মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারি কারণ এটি মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে। উপাদানটি প্রস্রাবের রোগ নিরাময়ের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
Share your comments