বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্রের চর অঞ্চলে এবার বিপুল পরিমাণে তরমুজের চাষ হচ্ছে। যা রীতিমত বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে বাংলাদেশের তরমুজ চাষিদের জীবনে। দিন দিন এই চরে চাষিদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে ফলনও হবে বেশি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৬টি নদীতে প্রায় ৪৫০টি চর রয়েছে যার প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। কৃষকরা 368টি চরে 35,000 হেক্টর জমিতে চাষ শুরু করেছেন এবং তারা ভুট্টা, তরমুজ, শসা , মিষ্টি কুমড়া এবং গোলমরিচের মতো বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন।
গত বছর জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চর বাগুয়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, প্রথম দিকের বন্যার কারণে 40 একর ফসল নিমজ্জিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তবে এ বছর চরে ৩৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা, ফলন শুরু করেছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশার চেয়ে ফলন ভালো হওয়ায় এবার ভালো লাভের আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ সরকারি মূল্যে ফসল কেনার সংযোগ এবার কৃষকবন্ধুর সঙ্গে! জানুন বিস্তারিত
সরকার এখনো বাজারজাতকরণে অগ্রসর না হলেও হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাস্টার জানান, চর এলাকার স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন কৃষিপণ্য চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনেক কৃষক জমি ছেড়েছেন এবং সাধারণ কৃষকদের ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না। এসব কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে এনজিও ও ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুনঃ “আলু বিক্রির কালোবাজারি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেবে সরকার” শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
কুড়িগ্রাম ডিএই এর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ আজিজুল ইসলাম জানান, জেলায় গত বছর থেকে তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে এবং এ বছর ২২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষকরা যাতে বাজারজাতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য চর এলাকায় সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
Share your comments