প্রতি বিঘা জমি থেকে ৮০ থেকে ৮৫ কেজি পেঁয়াজ বীজ পাওয়া যাবে। ওই হিসাব অনুযায়ী দেড় হাজার বিঘা জমি থেকে এক লাখ ২০ হাজার কেজি থেকে এক লাখ ৩০ হাজার কেজি বীজ উৎপাদন হবে। প্রতি কেজি বীজের দাম ২ হাজার টাকা দরে হিসাব করলে প্রায় ২৫ কোটি টাকার বীজ উৎপাদন হবে।
বিঘাপ্রতি জমিতে গড় খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা। আর বিঘায় পাওয়া যাবে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার বীজ বিঘাপ্রতি উৎপাদন কৃষকের লাভের অঙ্ক থাকবে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। ওই হিসাব অনুযায়ী দেড় হাজার বিঘা জমি থেকে দেড় হাজার কৃষকের লাভ থাকবে ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুনঃ লাভের আশায় বুক বেধেঁছেন মালদার আম চাষীরা
রাজ্য়ের অর্থকরী ফসলগুলোর মধ্যে পেঁয়াজ অন্য়তম। এটি মসলা জাতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য। ভালোমানের পেঁয়াজ উৎপাদন ও আশানুরূপ ফলনের ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা বিরাট। গত কয়েক বছর ধরে কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছেন। ফলে প্রতি বছর পেঁয়াজ চাষ বাড়ছে। বীজের চাহিদা ও আশানুরূপ দাম পাওয়ার কারণে রাজ্য়ের কৃষকরা পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছেন ।
উচ্চ ফলনশীল লালতীর, নীলতীর, হাইব্রিড, বারী-০১ এবং নাসিক-এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে কৃষকরা নিরন্তর পরিশ্রম করছেন। জমি চাষ দেওয়ার পর পেঁয়াজ রোপণ, সময়মতো সেচ দেওয়া, সার এবং কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বীজের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুনঃ বোরো ধানের ভাল ফলন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে রাজ্য়ের কৃষকরা,চিন্তা ডিজেলের বাড়তি দাম নিয়ে
রাজ্য়ের মাঠে মাঠে চোখে পড়ছে কদম ফুলের মতো ফুটে থাকা পেঁয়াজ ফুল। শুভ্রফুলের সমাহারে মাঠের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে এসব ক্ষেত। যা দেখে চাষিদের মন ভরে যাচ্ছে। ঠিকমতো বীজ ঘরে তুলতে পারলে লাভের আশাও দেখছেন তারা। বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের শুভ্রফুলের দৃষ্টিনন্দন সমারোহ। ৪ কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি কৃষকের নিবিড় পরিচর্যার ফলে বীজের বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে ।
Share your comments