
নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রক ২০২২ সালের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে প্রায় ২৬ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ ক্ষমতা স্থাপনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। মন্ত্রী আর কে সিং বলেছেন, এই ক্ষমতার একটি বৃহৎ অংশ প্রচলিত ভূমি-ভিত্তিক প্রকল্পগুলির আকারে স্থাপন করা হবে। কৃষকদের কাছে উপলব্ধ অনুর্বর বা পতিত জমিতে ১০ গিগাওয়াট শক্তি স্থাপন করা হবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পগুলির প্রতিটিতে ২ মেগাওয়াট শক্তি থাকবে। ভারতের কৃষকরা এই প্রকল্পগুলি থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রয় করে অতিরিক্ত আয় করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও, কৃষকরা মূলধন ভর্তুকির আকারে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
সরকার অফ-গ্রিড সৌর পাম্প স্থাপনেও সহায়তা করবে। সৌর পাম্পগুলি হ'ল প্রচলিত সেচ পাম্প, যা সৌর প্যানেলের সাথে সংযুক্ত। এই ক্ষেত্রে কৃষিক্ষেত্রের সর্বাধিক শক্তি-নিবিড় কর্মকাণ্ড এবং গ্রিডটি থেকে প্রচুর পরিমাণে বোঝা নেওয়ার ফলে খুচরা বিক্রেতাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটে।
ভারতে বিদ্যুৎ খুচরা বিক্রেতারা শত শত বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই আর্থিক সঙ্কটের মূল কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হ'ল খুব কম বা বিনা মূল্যে বিদ্যুত সরবরাহ। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে খুচরা বিক্রেতারা কৃষি গ্রাহকদের জন্য শুল্ক বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

নতুন অফ-গ্রিড সৌর পাম্প স্থাপনের পাশাপাশি গ্রিড-সংযুক্ত সেচ পাম্পগুলিতে সোলার প্যানেল যুক্ত করার কাজও শুরু হবে।
প্রায় ১.৭৫ মিলিয়ন অফ-গ্রিড সোলার পাম্প স্থাপন করা হবে এবং এক মিলিয়ন অপারেশনাল গ্রিড-সংযুক্ত সেচ পাম্পগুলি সৌর প্যানেলের সাথে সংযুক্ত করা হবে। এই সৌর পাম্প এবং ছোট ল্যান্ড-ভিত্তিক সৌর প্রকল্পগুলি ভারতের খুচরা ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের উভয়ের পক্ষে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের জন্য ৩৪৪ বিলিয়ন ডলারের ভর্তুকি সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় কিষাণ উর্জা সুরক্ষা উত্তম মহাভিয়ান বা প্রধানমন্ত্রী-কুসুম। ২০২২ সালের মধ্যে ২৫.৬ গিগাওয়াট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সরকার।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments