ফুলকপি আর ব্রোকলির বিকল্প হতে পারে ব্রাসেলস স্প্রাউট। হয়তো আপনি নাম প্রথম শুনছেন, হয়তো আগে থেকেই আপনি এই স্প্রাউট এর ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। তবুও চলুন শুরু করি স্প্রাউট নিয়ে জানার ক্ষুদ্র এক যাত্রার প্রচেষ্টা।
কি এই ব্রাসেলস স্প্রাউট
ব্রাসেলস স্প্রাউট এর বৈজ্ঞানিক নাম Brassica oleracea । ছাদ বাগানের জন্য উপযোগী এই সবজি গাছের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৪.৫ ফিট পর্যন্ত হয়, এবং গাছ লাগানোর ১ মাসের মধ্যে গাছের সর্বাঙ্গ জুড়ে স্প্রাউট দেখা দেয়। একটি গাছে প্রায় ৪০-৫০ টির মতো স্প্রাউট ধরে, এবং প্রতিটি স্প্রাউট এর ওজন হয় প্রায় ৫০-৭০ গ্রাম হয়।
আরও পড়ুনঃ লেদা পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল, ক্ষতির আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন ডাল চাষিরা
কেন খাবেন স্প্রাউট
আপনার খাবার টেবিলে ফুলকপির বিকল্প হতে পারে এই স্প্রাউট। অন্যান্য কপি (ফুলকপি, বাঁধাকপি)এর তুলনায় এই সবজিতে গ্লুকোসিনোলেটস এর পরিমাণ সর্বাধিক। ছাদ বাগানেও শোভাবর্ধন করবে এই গাছ, তার সাথে আপনাকে যোগান দেবে পুষ্টি এবং প্রতিরোধ করবে ক্যান্সার।
চাষের পদ্ধতি
এই কপি বেলে দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটিতে খুব ভাল জন্মায়। বীজ পোঁতার আগে মাটির সাথে ভালো করে জৈব সার ও প্রয়োজন মতো কম্পোষ্ট সার মেশাতে হবে কারণ জৈব সারে চাষ হলে ফসলের গুণমান খুব ভালো থাকে। সারি তৈরির সময় এক সারি থেকে আরেক সারির দূরত্ব ৩ ফুট ও প্রতি গাছের মধ্যে দূরত্ব থাকবে দুই ফুট।
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজের দরপতন! চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের, বাধ্য হয়ে ফেলে দিচ্ছেন ফসল
বীজ পোঁতার পর বীজতলা থেকে চারা তৈরী হতে সময় নেয় ২০-২৫ দিন, ও ১৫ দিন অন্তর অন্তর সেচের কাজ করতে হবে। বাঁধা কপির রোগ পোকার মতোই এই ফসলের রোগ পোকা, তাই বাঁধাকপিতে যে পেস্টিসাইড ব্যবহার হয়, এতেও তাই। ফলন কালে একটানা ১৫-২০ দিন ফলন পাওয়া যায় এবং এক একটি গাছ থেকে প্রায় ৪৫-৬০ টি কপি পাওয়া যায় প্রতিটির ওজন গড়ে ৫০ গ্রাম করে।
Share your comments