শসা একটি মরশুমি চাষ। মাচায় ঝোলা শসার বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। লাউ প্রজাতির এই ফসলটি খুবই উপকারী। এখন সারা বছরই বাজারে শসা পাওয়া যায়। তাই কৃষকদের একটি বড় অংশ এ সময় ধান চাষের পাশাপাশি শসা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মোটা আর্থিক লাভও করছেন কৃষকরা। কৃষকদের শসা চাষের জন্য কৃষি দপ্তর থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে নানা সরকারি সহায়তাও।
মাটি তৈরীর পদ্ধতি
জলনিকাশি যুক্ত দোআঁশ মাটি শসা চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। এই মাটিতে শসা চাষের জন্য প্রচার রাসায়নিক কিংবা জৈব সার থাকে। যা ধান তোলার পর অব্যবহৃত অবস্থায় চাষের মাঠে পড়ে থেকে নষ্ট হয়।
আরও পড়ুনঃ National Banana Day 2022 কেন পালিত হয় এই দিন?
শশার বীজ বপন ও রোপণ পদ্ধতি
-
সাধারন ভাবে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শশার বীজ বপন করা ভাল। তবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ক্ষেত্রে বীজের প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশিকা অনুসরন করতে হবে।
-
চারার বয়স ১৬-২০ দিন হলে পলিব্যাগ সরিয়ে মাদায় চারা রোপণ করতে হবে। প্রতি ব্যাগে ২টি চারা থাকলে মাঠে লাগানোর ৬-৭ দিন পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল চারাটি তুলে প্রতি মাদায় ১ টি করে চারা রাখতে হবে।
-
৬-৭ ফুট দূরত্বে ১ ফুট গভীর ও ১ ফুট ব্যাসের গর্ত / মাদা তৈরী করতে হবে এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ১.৫-২ মি.।
শসার বীজ বপনের সময়
(১) গ্রীষ্মকালীন - জ্যৈষ্ঠ - মে-জুন (২) বর্ষাকালীন আসার (জুন - জুলাই) মাস। এবং (৩)শীতকালীন অগ্রহায়ণ - পৌষ (নভেম্বর - জানুয়ারী) উঁচু অঞ্চল হলে এপ্রিল মাস।
সার প্রয়োগের পদ্ধতি
প্রতি একর জমির জন্য ২০ গাড়ি গােবর সার বা আবর্জনা সার এবং ২৫ কেজি, ইউরিয়া, ৩০ কেজি, সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও ৩০ কেজি, মিউরেট অব পটাশ দরকার জমিতে শেষ চাষ করার সময়। এছাড়া চারার ৩ সপ্তাহ ও ৬ সপ্তাহ বয়সে দুবার প্রতিবারে ১০ কেজি ইউরিয়া চাপান দিতে হবে।
শসা চাষে রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি
কচি ফলের ওপর ছিদ্র করে ডিম পাড়ে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চা পোকা ফলের নরম অংশ খেতে শুরু করে। এর ফলে ফল বেঁকে যায়। ২ লিটার জলে ৫০০ গ্রাম গুড়, ২০ গ্রাম কার্বারিল ও ২০ গ্রাম ইস্ট গোলা হয়। ঐ জল অল্প অল্প করে অনেকগুলি পাত্রে নিয়ে ক্ষেতে বসালে মাছি এই পাত্রের মিশ্রণে আকৃষ্ট হয় এবং মারা যায়। এছাড়া প্রতি লিটার জলে ০.৭৫ মিলি নুভান গুলে স্প্রে করা যায়।
আরও পড়ুনঃ কলা বিক্রি হচ্ছে এক কোটি টাকার,কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
সাদা পাউডার রোগ
পাতায় ধূসর দাগ হয়। ঐ দাগের ওপর সাদা পাউডার জমে। আঙুল ছোঁয়ালে পাউডার লেগে যায়। পরে পাতা শুকিয়ে যায়। প্রতি লিটার জলে ০.৭৫ মিলি টিল্ট বা ১ গ্রাম ব্যাভিস্টিন বা ০.৫ মিলি ক্যালিক্সিন গুলে স্প্রে করা হয়।
Share your comments