আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ডাল জাতীয় ফসলের চাষ হয়। এর মধ্যে খেসারি কলাই ডাল অন্যতম। অনেকেই খেসারি কলাইয়ের শাক সংগ্রহ করেছেন খাওয়ার জন্য। মাঝে এ খেসারি ক্ষেত গরুকে খাওয়ানো হত। কালের আবর্তে আজ তা ভিন্নরূপ নিয়েছে। বাজারে এর চাহিদা থাকায় দিন দিন কৃষকরা খেসারি কলাই চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। খেসারি আবাদ করার পর একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। সাধারণত কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে কৃষক জমিতে খেসারি কলাইয়ের বীজ রোপণ করা হয় । এটি মূলত শীতকালীন ফসল। তাই আসুন খেসারি ডালের সঠিক চাষ পদ্ধতি জেনে নিই:
উপযুক্ত মাটি
সুনিষ্কাশিত দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি খেসারি চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত। খেসারি প্রধানত বোনা হয় আমন ধান কাটার আগে, রিলে ফসল হিসেবে আবাদ করা হয়ে থাকে। সেজন্য জমি চাষের তেমন প্রয়োজন হয় না।একক ফসল হিসেবে আবাদের ক্ষেত্রে ৩-৪ টি চাষ ও মই দিতে হবে।
বীজ বপন
রিলে ফসলের ক্ষেত্রে আমন ধানের পরিপক্কতাকাল এবং জমির রসের পরিমাণের উপর খেসারীর বীজ বপনের সময় নির্ভর করে। এক্ষেত্রে কার্তিক মাস থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (মধ্য-অক্টোবর থেকে নভেম্বর) পর্যন্ত বীজ বপন করতে হবে। একক ফসলের জন্য মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে বীজ বপন করতে হবে।
সার প্রয়োগ
খেসারির রিলে ফসলের ক্ষেত্রে সারের প্রয়োজন হয় না। একক ফসলের জন্য অনুর্বর জমিতে হেক্টরপ্রতি নিম্নরূপ হারে সার ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন উচ্ছে চাষের আধুনিক উপায়
পরিচর্যা
বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে নিড়ানী দ্বারা আগাছা দমন করা যেতে পারে। অতিবৃষ্টি হলে জমিতে যাতে জলা না দাড়ায় সেজন্য জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া রিডোমিল এম জেড (০.২%) ১২ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ Lathyrus farming process: জেনে নিন খেসারী ডালের চাষ পদ্ধতি ও পরিচর্যা
ফসল সংগ্রহ
ফাল্গুন (মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য মার্চ) মাসে ফসল সংগ্রহ করা যায়।
Share your comments