মাটির আর্দ্রতার পরিমাণ উন্নত হওয়ায় এবং জলাধারগুলিতে জলের প্রাপ্যতা বেশি থাকায় অধিক রোপণের জন্য আসন্ন রবি মরসুমে কৃষকদের সারের চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যেতে পারে।
কেন্দ্র ইউরিয়া অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সারের উচ্চ মজুতের বিধান করেছে। শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের রবি প্রচার বিষয়ক এক সভায় উপস্থাপনা অনুসারে, ২০১৮-২০১৯ রবি মরসুমে ইউরিয়ার আনুমানিক প্রয়োজনীয়তা হবে ১৭.৪ মিলিয়ন টন, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ (১৬.২৪) মিলিয়ন টন বেশি।

তেমনি অন্যান্য সারেরও উচ্চ চাহিদা আশা করা যায়। আসন্ন রবি মরসুমে ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেটের চাহিদা আগের মরসুমের (৪.৬ মিলিয়ন টন) তুলনায় বেশী, এ বছর তার বর্ধিত পরিমাণ প্রায় ৫.১৬ মিলিয়ন টন । এনপিকে কমপ্লেক্স সার সরবরাহের মজুদ ৫.০১ মিলিয়ন টন, যা আগের মরসুমের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি । এমওপি-র মতো পটাসিক সারের চাহিদা আরও বর্ধিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বছর বর্ষার উত্তম বৃষ্টিপাতের কারণে সারের চাহিদা বর্ধিত হওয়ার আনুমানিক যে পরিমাণ আশা করা হচ্ছে, আসল চাহিদা সেই প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হতে পারে। ভারতের সার সংস্থা বলেছে যে ২০১৯ সালে সারের চাহিদা ২ থেকে ৩ % প্রবৃদ্ধি হবে।

এই সংস্থার মত অনুযায়ী, পরবর্তী সময়ে ভাল বৃষ্টিপাতের কারণে চাহিদা আগের অনুমানের চেয়েও বেশি হবে। চলতি খরিফ মরসুমের প্রথম তিন মাসে সারের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম ছিল, তবে জুলাই মাস থেকে দেশের বেশিরভাগ অংশে ভাল বৃষ্টিপাতের কারণে সারের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রবি সম্মেলনের সময়, তেলঙ্গানার মতো কয়েকটি রাজ্য সরকারকে তাদের সারের কোটা বাড়াতে অনুরোধ করেছিল, কারণ প্রধানত ধানের মতো ফসলের জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই রাজ্যে সারের চাহিদাও বর্ধমান ।

কৃষিমন্ত্রক শুক্রবার খরিফ বপনের তথ্য প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে দেখা যায় যে, সমগ্র ভারত গত বছরের সমতুল্য সপ্তাহ পর্যন্ত যত বেশি জমিতে বপন করা হয়েছিল, তার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এখনও অবধি খরিফের আবাদ হয়েছে ১,০৫৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে, গত মরসুমে একই সপ্তাহে ১,০৫৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments