
আমাদের আবহাওয়া দিন দিন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কৃষিজ ফলন উৎপাদনে।এই আবহাওয়া পরিমাপের কিছু মাপকাঠি আছে সাধারণভাবে বলতে গেলে আবহাওয়া বায়ুমন্ডলের তাৎক্ষণিক অবস্থা, বিশেষত বিকিরণ, তাপমাত্রা, বায়ুর চাপ, প্রবহমান বায়ু, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত, বাষ্পীভবন, শিশির এবং দৃষ্টিগোচরতা সম্পর্কে তথ্যের যোগান দেয়। অন্যদিকে জলবায়ু একটি নির্দিষ্ট স্থানের, দীর্ঘসময়কালের, সাধারণত ক্রমাগত কয়েক দশকের আবহাওয়ার উপাদানসমূহের পরিসংখ্যায়ক সমষ্টিজাত উপাত্তকে নির্দেশ করে। শুধু আবহাওয়ার উপাদানসমূহের গড় অথবা মধ্যমানই জলবায়ুর অন্তর্ভুক্ত থাকে না, এসবের পরিবর্তনশীলতাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকে। এভাবে একদিক থেকে অন্যদিকে আবহাওয়ার তারতম্য ঘটে এবং জলবায়ু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভিন্নতর হয়ে থাকে।
দেশের কোথায় কোনো কোনো ফসল উৎপন্ন করা যায় তা নির্ধারণ করে জলবায়ু, আবহাওয়া নির্ধারণ করে প্রধানত উৎপন্ন দ্রব্যের পরিমাণ।আমরা আজ যে বিষয়টি তুলে ধরবো তা হলো শিশির।এটি সকালে সূর্য ওঠার আগে, বিকেলে সূর্যাস্তের আগে, রাতে যেকোনো ধরণের ঘাসের উপর জলীয় স্পঠিক হিসেবে লক্ষ করা যায়।তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে কিংবা আবহাওয়া বিশাল পরিবর্তনের ফলে আজকাল খুব কম সময়ই এর দেখা পাওয়া যায়। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাতৃ দ্বিতীয়াতে শিশির বিন্দু ছাড়া ভাই ফোটা দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু এই শিশিরের কমে যাওয়া কৃষি ক্ষেত্রে কোনো অশনি সংকেত বহন করছে কিনা সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।
আসলে শিশির হল কোনো শীতল বস্তুর উপর জলীয় বাষ্প জমা হয়ে সৃষ্ট বিন্দু।একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাতাস একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে। তাপমাত্রা বাড়লে যেমন ধারনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি তাপমাত্রা কমলে ধারনক্ষমতা হ্রাস পায়। সাধারণত সন্ধার পরে তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাতাস জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। যদি তাপমাত্রা আরো কমে যায়, তখন বাতাস আর জলীয় বাষ্প ধরে রাখতে পারে না এবং তা শীতল বস্তুর উপর জলের কণা হিসেবে জমা হয়। এ জলের বিন্দু শিশির বিন্দু নামে পরিচিত (যেমন, ঘাসের উপর শিশির বিন্দু জমা হয়)। এটি পরিমাপ করার জন্য ড্রোজোমিটার নামক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
(তথ্য : উইকি)
- অমরজ্যোতি রায়
Share your comments