গমের ভাল ফলন পেতে এই কাজগুলি অবশ্যই করুন

একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে এর বৃদ্ধি, ফুল ও ফলন উত্পাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ওই ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোনো শস্যের বীজ বপন থেকে এর ফল

KJ Staff
KJ Staff
গম।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে এর বৃদ্ধি, ফুল ও ফলন উত্পাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ওই ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোনো শস্যের বীজ বপন থেকে এর ফল সংগ্রহ পর্যন্ত সময়ই ওই ফসলের মৌসুম। সাধারণত শীতকালীন সময়টাকে রবি মৌসুমের মেয়াদকাল হিসেবে ধরা হয়। আশ্বিন থেকে ফাল্গুন মাস অর্থাত্ মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত, মতান্তরে মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালকে রবি মৌসুম বলে।

গম আমাদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফসল।এটি চাষে জলের দরকার হয় কম।গমে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম। ফলে খুব বেশি কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। তবে গমের ফলন বাড়াতে কিছু করণীয় আছে।

আরও পড়ুনঃ বাম্পার মুনাফা অর্জনের সর্বোত্তম সুযোগ, কৃষকদের অবশ্যই এই তিনটি গাছের চাষ করতে হবে

ভাল ফলন পেতে কিছু করণীয়

১. গমের ফলন ভালো পেতে হলে দরকার উঁচু এবং মাঝারি দোয়াশ মাটি ।

২. গমের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় নভেম্বর মাসের ১৫-৩০ তারিখ পর্যন্ত।

৩. বীজ গজানোর হার ৮০ ভাগ বা তার বেশি হলে প্রতি শতকে আধা কেজি বীজ বপন করতে হবে।

৪. বপনের আগে প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ৩ গ্রাম হারে প্রোভেক্স-২০০ ডব্লিউ পি মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।

৫. ৮ ইঞ্চি দুরত্ব বজায় রেখে ২ ইঞ্চি গভীরে বীজ বপন করতে হবে। 

৬. স্থানীয় কৃষি অফিস বা মাঠকর্মীর পরামর্শে সঠিক মাত্রায় সার ব্যবহার করতে হবে।

৭. উত্তরাঞ্চলের মাটিতে মাঝে মাঝে গমে চিটা দেখা যায়। এর ফলে ফলন কমে যায়।

৮. অনুমোদিত মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে বিঘা প্রতি ৮০০ গ্রাম বরিক এসিড বা ১ কেজি ৩০০ গ্রাম বোরাক্স প্রয়োগ করে চিটা দূর করা যায়।

৯. বীজ বপনের পর ১০-১২ দিন পর্যন্ত পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. আগাছা দমনের ব্যবস্থাপ করতে হবে।

১১. গম ক্ষেতে ধানের মতো ঢালাও ভাবে সেচ দেওয়া যাবে না। নালা বা ফিতা পাইপের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে দিতে হবে।

১২. সঠিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফলন ৫৮% পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।

১৩. বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে প্রথম সেচের পর একটি নিড়ানি দিলে ফলন প্রায় ১০-১২ ভাগ বাড়ে।

১৪. গমের প্রধান দুটি রোগ হচ্ছে পাতার মরিচা রোগ ও পাতার দাগ রোগ। এ ছাড়া মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে।

১৫. সঠিক পরামর্শে সঠিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করলে রোগ-বালাই দূর করা সম্ভব।

১৬. ক্ষেতে ইঁদুরের আক্রমণ হলে ফাঁদ পেতে, গর্তে জল ঢেলে বা বিষটোপ দিয়ে ইঁদুর দমন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ আপনি যদি অল্প সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করতে চান তবে এই জাতের ধনিয়া লাগান

এছাড়া গমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য জমি চাষ করার সময়ই প্রতি শতকে ৩০-৪০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা ভালো। সেচসহ শেষ চাষের সময় প্রতি শতাংশে ৬০০-৭০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০-৭০০ গ্রাম টিএসপি, ৩০০-৪০০ গ্রাম এমওপি এবং ৪৫০-৫০০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।

Published On: 08 November 2022, 12:10 PM English Summary: Do these things to get good yield of wheat

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters