হপ- হিউমুলাস লুপুলাস গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম। যদিও খুব কম মানুষই এই নামটির সঙ্গে পরিচিত। এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই গাছের বৈশিষ্ট্য জানার আগে পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের মানুষদের কাছে হপ আগাছা হিসেবেই পরিচিত ছিল । হপ শুটসের ফুলকে বলা হয় ‘হপ কোনস’। এই ফুল বিয়ার প্রস্তুত করতে কাজে লাগে। আর বাকি অংশ সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সারা বিশ্বের কাছে এই গাছটির আলাদা একটি পরিচয় রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি সবজিরর গাছ এটি। এর ১ কেজির দাম ১ লাখ টাকার কাছাকাছি! বাজারে চাহিদা না থাকায় ভারত এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে এই সবজির চাষ হয় না। এই ফল অত্য়ন্ত ব্য়য়বহুল তাই ইউরোপ এবং আমেরিকার মত দেশগুলিতে এর চাষ বেশি হয়। আর সবজিটির নাম হপ শুটস। সবজিটি দেখতে অনেকটা অ্যাসপারাগাসের মতো। খেতেও অনেকটা সে রকমই। অ্যাসপারাগাস যে ভাবে রান্না করে খেতে হয় এই সবজিটিও সে ভাবেই খেতে পারবেন। এ ছাড়া আরও অনেক ব্যবহার রয়েছে এর।
আরও পড়ুনঃ উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্ব ও বর্তমান পরিকল্পনা
হপ শুটস এর ব্যবহার
এই গাছের ফুল হপ নামে পরিচিত। এই ফুল দিয়ে বিয়ার তৈরি করা হয়। কোনও পানীয়তে সুগন্ধী দেওয়ার কাজেও লাগে এই ফুল। হপ ফুল দিয়ে তৈরি বিয়ার সহজে নষ্ট হয় না। মূলত পানীয় তৈরিতেই প্রথম এই গাছের ব্যবহার সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তারপর ধীরে ধীরে এর ঔষধি গুণ সামনে আসতে শুরু করে।
ওই সবজিটি প্রথম চাষ হয় ৭৩৬ সালে জার্মানিতে। তবে প্রথম হপ শুটস পানীয়তে ব্যবহার করা হয় ১০৭৯ সালে। পরবর্তী কালে হল শুটস-এর আরও অনেক ঔষধি গুণের কথা সামনে আসে। এর বিশেষ অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। টিবি রোগীদের ওষুধ তৈরিতে, ক্যানসারের চিকিৎসায় কাজে লাগে হপ শুটস। এই সমস্ত কারণেই হপ শুটস-এর এমন আকাশছোঁয়া দাম।
আরও পড়ুনঃ স্ট্রবেরি চাষ করে ৩ মাসে আয় ২৫ লাখ টাকা আয় করে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশের কৃষক!
হপ শুটস-এর মধ্যে থাকা অ্যাসিড ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলিকে নষ্ট করে দেয়। ক্যানসারের ওষুধ তৈরিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই হপ শুটস নিয়ে বহু গবেষণাও চলছে। এই গাছটি মূলত ঝোপ প্রকৃতির। ফুলগুলি সবুজ রঙের আর খুব নরম। তাই খুব সাবধানে গাছ থেকে তুলতে হয় সেগুলি। তোলার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর বিক্রির যোগ্য থাকে না।
Share your comments