আপনি যদি আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চান, তবে অবশ্যই পোস্ট অফিস ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’ প্রকল্পে বিনিয়োগের কথা ভাবুন। এটি কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত খুব জনপ্রিয় একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। ‘কিষাণ বিকাশ পত্র’ প্রকল্পে বিনিয়োগ নিরাপদ এবং এটি ভবিষ্যতে ভাল আয় নিশ্চিত করে। এই প্রকল্পের সুদের হার সরকার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করে।
ইন্ডিয়া পোস্ট ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্পের মেয়াদপূর্তি এখন ১১৩ মাস থেকে ১২৪ মাস করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই প্রকল্পে আপনার বিনিয়োগ এখন ১২৪ মাসে দ্বিগুণ হবে। এই প্রকল্পের সুদের হার ১ ই এপ্রিল, ২০২০ থেকে ৬.৯০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে ৭.৬০ শতাংশ ছিল।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কোনও ব্যক্তি আজ কিষাণ বিকাশ পত্রে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তবে ১২৪ মাস পরে, তিনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা পাবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ব্যবসায়িক অনিশ্চয়তার মধ্যে যে কোনও বিনিয়োগকারীর জন্য এই গ্যারান্টিযুক্ত বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে একটি বড় সুসংবাদ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে, বিশ্বজুড়ে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, শেয়ারবাজারগুলিও এই সময়ে তীব্র আর্থিক সংঘর্ষের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যতে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পেতে পোস্ট অফিসের এই স্কিমটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
কিষাণ বিকাশ পত্রের নিয়মাবলী -
আবেদনকারীকে প্রাপ্তবয়স্ক এবং ভারতীয় আবাসিক হতে হবে।
তিনি নিজের নামে অথবা নাবালিকার পক্ষে কিষাণ বিকাশ পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ট্রাস্টগুলিও এই প্রকল্পে বিনিয়োগের যোগ্য।
দ্রষ্টব্য - এইচইউএফ (হিন্দু অবিভক্ত পরিবার) এবং এনআরআই দের কেভিপিতে বিনিয়োগ গ্রহণযোগ্য নয়।
কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্পের সুবিধা -
সকলের সাধ্যমতো রাশি জমা - একটি কেভিপি শংসাপত্র বিভিন্ন রাশির ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত করা যায়।
গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন - এটি কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত একটি প্রকল্প। সুতরাং বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগকৃত অর্থের ফেরত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ - আপনি যদি আপনার জমাকৃত রাশি ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ করতে চান, তবে কিষাণ বিকাশ পত্র অন্যতম সেরা বিকল্প।
কিষাণ বিকাশ পত্র: আবেদন প্রক্রিয়া -
কিষাণ বিকাশ পত্রের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন- দু’ভাবেই আবেদন করা যায়।
অফলাইন প্রক্রিয়া –
কেভিপি আবেদন ফর্ম বা ফর্ম-এ ১ সংগ্রহ করে সমস্ত সম্পর্কিত তথ্য পূরণ করুন এবং পোস্ট অফিসে জমা দিন।
যদি কোনও এজেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়, তবে দ্বিতীয় ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং জমা দিতে হবে। এজেন্টের ফর্ম-এ ১ পূরণ করতে হবে।
অনলাইন প্রক্রিয়া –
দুটি ফর্মই অনলাইনে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড এবং সাবমিট করা যাবে। এর জন্য উপলব্ধ সাইট- https://www.indiapost.gov.in/ - এ লগ ইন করে ফর্মের যাবতীয় তথ্য পূরণ করুন এবং জমা দিন।
কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটির জন্য আপনাকে আপনার পরিচয় পত্র যেমন, আধার কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট/ ভোটার আইডি কার্ড / প্যান কার্ড -এর অনুলিপি সরবরাহ করতে হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments