কৃষিজাগরন ডেস্কঃ রেশম চাষের প্রসারে ও উৎপাদনে ভারতবর্ষের স্থান চীনের পরেই। পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী হলেও সিল্কের রকমফেরে বরাবরই আমরা সেরা এবং আমাদের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সিল্ক। রেশম শিল্পে কর্মসংস্থানের খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েক বছরে, ভারতে রেশম শিল্পে প্রচুর প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রেশম উৎপাদনে জাপান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো দেশকে পেছনে ফেলেছে ভারত।
এই সবরকমর সিল্ক বা রেশম একমাত্র আমাদের দেশেই উৎপাদিত হয় যার মধ্যে মুগ রেশম ভৌগলিকভাবে ভারতের এবং অসম রাজ্যের সম্পদ বলে আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাম্প্রতিক কালে আমাদের রাজ্যের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার মুগার চাষ করা হচ্চে এবং ফলও খুব ভালো। মুগার সোনালী উজ্জ্বল রং-এর জন্য ও এর স্থায়িত্বের কারনে এর চাহিদা পৃথিবী ব্যাপী। মুগা পৃথিবীর দুর্লভ রেশমের মধ্যে একটি।
আরও পড়ুনঃ সোনালী ফসল মুগা রেশম
রেশম চাষ পদ্ধতি
একটি ঘরের পাঁচ ফুট স্কোয়ার ডালায় রেশমের ডিম রাখতে হয়। সেখানে তুঁতের পাতা দিলেই পলুগুলো খেয়ে খেয়ে ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রেশম গুটি হয়। এ গুটি বছরে চারবার উৎপাদন করা যায় । প্রতি ১০০ পলু পালন করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। বছরে কোনো খরচ ছাড়াই দেড় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব ।
আরও পড়ুনঃ খেজুর চাষ করে লক্ষাধিক আয় করুন, এগুলো উন্নত জাত
সার
গাছ লাগানোর ২ থেকে ৩ মাস পর সার ব্যবহার করতে হবে। এক একর জমিতে সেই অনুযায়ী ৫০ কেজি নাইট্রোজেন ব্যবহার করতে হবে। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ফাঁক পূরণ করতে হবে। রোপণের মাত্র ৩ মাস পর হালকা আগাছা নাসক দিতে হবে।
সেচ
প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের কারণে বর্ষাকালে রোপণ করা গাছগুলিতে কম সেচের প্রয়োজন হয়। বর্ষাকালে ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলে গাছে সেচ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।
রেশমকীটের জীবনচক্র চারটি দশার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়- ডিম ,লার্ভা বা পলু ,পিউপা এবং মথ। সোনালী হলুদবর্ণ প্রদানকারী মুগা রেশমকীট অর্ধগৃহপালিত কারন লার্ভা দশা সম্পন্ন হবার পর তারা পোষক উদ্ভিদ বেয়ে নীচে নেমে আসে এবং এই পরিপক্ক পলুমুগ চাষী সংগ্রহ করে থাকেন ও তাঁর নিজেদের গৃহেই গুটি বা কোকুন বুননের জন্যে রাখেন।
Share your comments