বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি একটা গন্ধ। ঘনসবুজ পাতার মধ্যে হালকা নীল রঙের ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে গাছ। সুন্দর এই দৃশ্য যে কাউকেই কাছে টানে। লালমনিরহাটের মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে 'কালোজিরা' নামের এই ফসলটি।
চলতি রবি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে কালোজিরার চাষ করেছেন কৃষকরা ।রাজ্য়ের কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা । কালোজিরা আমাদের দৈন্দিন জীবনে ভীষণ অপরিহার্য । এটা শুধু মসলা জাতীয় ফসলই নয়—সব রোগের মহৌষধ হিসেবেও খ্যাতি আছে কালোজিরার।কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মসলা জাতীয় এই ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত আগ্রহী কৃষকেরা।কালোজিরা তাদের কাছে এখন ‘কালো সোনা’ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন, ২৫ কোটি টাকার পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের আশা
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা হচ্ছে অনেকটা দেখতে ধনিয়া গাছের মত দেখতে কালোজিরা। সাদা ফুলে ভরে গেছে মাঠ ।মৌমাছিরা গুন গুন শব্দে মুখরিত করে তুলছে ক্ষেত, মধু আহরণে ব্যস্ত ওরা।
হুগলি জেলার এক কৃষক সজল মন্ডল বলেন ‘আমার জমিতে কালোজিরা আবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।যদি কোনো সমস্যা না হয় আর বাজার মূল্য ঠিক থাকে, তাহলে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো’।
একই এলাকার আরেক কৃষক সঞ্জয় শিকদার বলেন, ‘বাড়ির পাশে ১০ শতাংশ জমিতে কালো জিরা ফসলের চাষ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ফলনও ভালো হবে।এই জমিতে যে পরিমান কালো জিরা পাবো, তাতে আমার পরিবারের চাহিদা মিটবে।কালো জিরা তরকারিতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুনঃ লাভের আশায় বুক বেধেঁছেন মালদার আম চাষীরা
আগে অনেকে শখের বশে কালোজিরার চাষ করতেন। এখন মাঠজুড়ে পরিকল্পিতভাবে এ ফসলের আবাদ হচ্ছে। চর খয়রামারির বিভিন্ন ফসলের মাঠের এ দৃশ্য এখন সবার কাছে অতি পরিচিত। উৎপাদন খরচ কম, ব্যাপক চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে ঔষধি ও ভেষজ গুণসম্পন্ন 'কালোজিরার' চাষ।
Share your comments