উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: গত মরসুমে তুলনামূলক ভাবে ফলন বেশি হয়েছিল। তার পরেও বাজারে চাহিদা থাকায় মরসুমের শেষ পর্যন্ত দাম ছিল চড়া। চলতি মরসুমেও লাভের আশায় শীতকালীন অন্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার একাংশ কৃষক। এবছর আলু বীজ ও রাসায়নিক কীটনাশকের দাম বেশি থাকা সত্ত্বেও আলু চাষ কম হওয়া তো দূরের কথা, কয়েক শতাংশ আলু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি'র একজন কৃষক বিনোদ রায় জানান, গতবছরের থেকে এ বছরে আলু চাষের মাত্রা বেশ কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবছর লাভ কতটা হবে সেটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করছে। কারণ অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের দাম এদিকে আলুর বীজের দাম সেই তুলনায় বিঘা প্রতি প্রায় কুড়ি হাজার টাকার ওপরে খরচ হয় সেই তুলনায় বিঘাতে ৫০ থেকে ৬০ টি প্যাকেট যদি হয় সেই তুলনায় অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
আরও পড়ুনঃ আগাম আলু চাষে ক্ষতিগ্রস্ত নদীর চরের চাষিরা
এদিকে স্যারের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি সেই তুলনায় ময়নাগুড়ির সমস্ত চাষীরা এই বিষয়ে অবগত রয়েছেন কিন্তু স্যারের অতিরিক্ত দাম এবং কালোবাজারি সেই দিকটা সরকারকে তদন্ত ও নজর দেওয়া উচিত। সার এদিকে মজুদ করা থাকা শর্ত বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সেই কারণে চাষিরা সঠিক সময়ে সঠিক সার পারছেন না, সেই কারণে কৃষকরা অনেকটাই আর্থিক সমস্যার মুখে পড়ছেন। আগে ছিল কৃষি কাজটা একটি পেশা বর্তমানে এখন কৃষি কাজটা অনেকটাই ভাগ্য লটারির মত হয়ে গেছে।
Share your comments