ভারতে কাঁঠালের ফসল ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। একে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফলও বলা হয়। কাঁঠালে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো উপাদান, যা সুস্থ রাখতে উপকারী।
কাঁঠাল চাষ সব ধরনের জমিতেই করা যায় তবে বেলে দোআঁশ মাটি তার ফসলের জন্য খুবই উপযোগী বলে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া জমি যেন জলাবদ্ধ না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এর চাষের জমির PH মান প্রায় 7 হতে হবে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এর চাষ করা যায়।
উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু কাঁঠাল ফসলের জন্য বেশ উপযোগী বলে বিবেচিত হয়।এর গাছপালা গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে সহজে বৃদ্ধি পায়, কিন্তু ঠান্ডায় তুষারপাত ফসলের জন্য ক্ষতিকর। এর পাশাপাশি ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা গাছের বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। কাঁঠালের চারা তৈরি হয়ে গেলে অনেক বছর ধরে ফলন দেয়। যদি বড় পরিসরে কাঁঠাল চাষ করা হয় তবে কৃষকরা সহজেই বছরে 8 থেকে 10 লাখ লাভ করতে পারে।
কাঁঠালের জাত (Variety) -
কাঁঠালের বেশ কিছু জাত রয়েছে। চাষযোগ্য জাতসমূহ মোটামুটি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। গালা ও খাজা - এ দুটি জাত ছাড়াও কাঁঠালের আরো জাত আছে। গালা ও খাজা কাঁঠালের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে রয়েছে ‘রসখাজা’। এছাড়া আছে রুদ্রাক্ষি, সিঙ্গাপুর, সিলোন, বারোমাসী, গোলাপগন্ধা, চম্পাগন্ধা, পদ্মরাজ, হাজারী প্রভৃতি। তার মধ্যে হাজারী কাঁঠাল ছাড়া, বাকী সব ভারতে চাষ হয়।
রোপন পদ্ধতি:
গাছ ও লাইনের দূরত্ব ১২ মিটার করে রাখা দরকার। রোপণের সময় প্রতি গর্তে গোবর ৩৫ কেজি, টিএসপি সার ২১০ গ্রাম, এমওপি সার ২১০ গ্রাম সার প্রয়োগ করতে হয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রতি গাছের জন্য সারের পরিমাণ বৃদ্ধি করা দরকার। চারা/ কলমের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পরিমিত ও সময় মতো সেচ প্রদান করা দরকার।
রোপনের সময়:
ষড়ভূজী পদ্ধতিতে সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত চারা বা কলম মধ্য জ্যৈষ্ঠ থেকে মধ্য শ্রাবণ মাসে রোপণ করতে হয়।
Share your comments